জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক সহ দুই জন আহত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে ছাত্রদলকে বরণ করে নিয়েছে ছাত্রলীগ। এখন ছাত্রলীগ নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। বর্তমানে ছাত্রলীগ ছাত্রদলকে দেখছে। পরবর্তী সরকার যদি বিএনপি সরকার হয় তবে ছাত্রদল ছাত্রলীগকে সমর্থন করবে। বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী দল ও বিরোধী দলের ছাত্রসংগঠন গুলো একে অপরের বিদ্বেষী। অতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন ৬০ ভাগ ও বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠন ৪০ ভাগ পুরান ঢাকার চাদাবাঁজি করে পেত। বর্তমান সরকার আসার পরে এ নজির আর দেখা যায়নি। তবে ১৭ সেপ্টেম্বর  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে বরণ করে নিয়েছে ছাত্রলীগ। বর্তমানে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
রোববার সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যঅলয়ের প্রধান গেটের সামনে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছে প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন সহ এক ছাত্রলীগ কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে জবি শাখা ছাত্রলীগের প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিনের সম্পর্কের বড় ভাইয়ের প্রাইভেট গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। এসময় জবি শাখা ছাত্রলীগের দ্বিতীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আরিফুজ্জামান গ্রুপের কর্মী আলাউদ্দিন, তরিকুল, রফিকুল, সহ প্রায় ৩০ জন মিলে একটি প্রাইভেট গাড়িকে উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি রড ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। তারা গাড়িটিকে মারতে মারতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নিয়ে যায়।
সূত্র আরো জানায়, এসময় গাড়ির ভিতরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিজামউদ্দিনের কর্মী রিয়ানকে ব্যাপক মারধর করে। তখন নিজামউদ্দিন তার কর্মী রিয়ানকে বাঁচাতে গেলে তিনিও মারধরের মধ্যে পড়েন। সেসময় রিয়ানকে আরিফ গ্রুপের কর্মীরা পাঁচবার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী বলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন এঘটনায় আহত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আহত যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন বলেন, আমার কর্মীকে ব্যাপক ভাবে মারধর করেছে আরিফ গ্রুপের কর্মীরা। এসময় তারা আমার বড় ভাইয়ের গাড়িটিকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। আমি তখন তার সঙ্গে ছিলাম। পরে আমি ঘটনাটির সমাধান করে দেই। তবে তাকে মারধরের প্রসঙ্গে তিনি কোন উত্তর দেননি।
তবে এ সম্পর্কে যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আরিফুজ্জামান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার কর্মীরা রিয়ানকে মারধর করে। আমি তাকে এখন দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছি। আমি এ বিষয়ে ছাত্রলীগের অন্যন্য আহ্বায়কদের সঙ্গে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি

অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত ২০০৫ সনের ২৮নং আইনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ সরকারি কলেজটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় এবং ২০০৫ এর ২০ অক্টোবর একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৮ ফেব্র“য়ারী, ২০০৬ তারিখে উপাচার্য নিয়োগের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। বিলুপ্ত সরকারি জগন্নাথ কলেজ ক্যাম্পাসের ১১.১১ একর (প্রায়) জমির উপর বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত।

১৮৬৮ সালে জগন্নাথ রায় চৌধুরী বর্তমান ক্যাম্পাসে জগন্নাথ স্কুল নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর এর খ্যাতি ও প্রসারে অনুপ্রাণিত হয়ে জগন্নাথ রায় চৌধুরীর পুত্র কিশোরী লাল রায় চৌধুরী ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে এটিকে কলেজে রূপান্তরিত করেন। ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষে ১৮৮৪ সালে জগন্নাথ স্কুলকে ‘ঢাকা জগন্নাথ কলেজ’-এ উন্নীত করা হয়। ভারত উপমহাদেশে যে কয়টি বড় কলেজ স্বীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, ঢাকা জগন্নাথ কলেজ ছিল তার মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে ১৮৯৭ সালে শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে স্কুল ও কলেজ শাখা পৃথক হয়ে যায় এবং স্কুলের নাম হয় ‘কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল’ (বর্তমানে কে.এল.জুবিলী স্কুল)।

১৯২০ সালে ভারতীয় Legislative Council এ “Jagannath College Act”  আইন পাস করে নথিভূক্ত করা হয়। ১৯২০ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা উপলক্ষে ট্রাস্টি বোর্ডের অবসান ঘটে এবং অ্যাক্ট ১৬, ১৯২০-এর আওতায় জগন্নাথ কলেজের সমস্ত সম্পত্তি, দায়দেনার ভার স্থানীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে কলেজটিতে স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি ‘জগন্নাথ ইন্টারমেডিয়েট কলেজ’ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর ২৮ বছর পর ১৯৪৯ সালে পুনরায় এখানে স্নাতক পাঠ্যক্রম শুরু হয়।

১৯৬৮ সালে জগন্নাথ কলেজকে ‘সরকারি কলেজ’ এ রূপান্তরিত করা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে এখানে সম্মান ও স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালু হয়। পরে এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর করা হয়। ১৯৮২ সাল থেকে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি বন্ধ করা হয়। ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি জগন্নাথ কলেজ এর শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।

বিলুপ্ত সরকারি জগন্নাথ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ একাডেমিক কর্মকান্ড যেমন-একাডেমিক ও প্রশাসনিক, লাইব্রেরী উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, বই-পুস্তক ও জার্নাল সংগ্রহ, উচ্চতর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কর্মকান্ডে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে Computerized System-এ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ অনুযায়ী ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ০৬টি অনুষদ, ২৮টি বিভাগ ও একটি ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ সেন্টার রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮,৭৪১ এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩২৫ জন। ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ এবং আইন অনুষদ নতুনভাবে সংযুক্ত হয়েছে। 

Dhaka Brahma School to Jagannath University

Jagannath University, a traditional educational institution of Bangladesh is situated in the southern part of the Dhaka city near the river Buriganga. The history of this educational institution is different from other public universities of Bangladesh. It has a history of about 150 years. It is interesting that at the time of establishment it was a primary school. At first Dhaka Brahma School was founded in 1858 by Dinanath Sen, Prabhaticharan Roy, Anathbandhu Mallik and Brajasundar Kaitra. The name Jagannath school was given by Kishorilal Chowdhury, the Zamindar of Baliati in Tangail, who took over the school in 1872 and renamed it after his father's name. In 1884, it was raised to a second grade college. It is important to notice that, Law was one of the first courses introduced in this college. A common management committee administered the school and college until 1887, when the school section was separated to form an independent school named Kishore Jubilee School. It is now known as K L Jubilee School. The administration of the college was transferred to a board of trustees in 1907. In the following year, it became a first grade college.
The college started with only 48 students and in five years, the roll raised to 396. In 1910, Raja Manmath Roy Chowdhury, the zamindar of Santosh, tangail affiliated the Pramath-Manmath College of Tangail with Jagannath College.It was known as the best equipped private college in Dhaka as early as 1910. With the establishment of Dhaka University in 1921 the college had to stop admission in Degree courses and was renamed Jagannath Intermediate College. And all the students of Jagannath college were transferred to Dhaka University. This status was changed after 28 years in 1949, when it reopened Degree classes. The college was taken over by the government in 1968.
Jagannath College opened honors and masters programmes in 1975. That year the government once again took over the college and upgraded it into a postgraduate college. In 1982, the college closed its programmes of intermediate level. The college introduced evening shifts in 1992. At that time Jagannath College was an open postgraduate college for the poor students of Bangladesh. The study cost in this educational institution was in the hand of all kinds of students.
The college was transformed into the Jagannath University in 2005 by passing a bill named 'Jagannath University Act-2005" in the national parliament. At present, the University has 28 departments under 4 faculties. The faculties are Science, Arts, Business Studies and Social Science. Now 359 teachers are engaged in providing quality education of around 25000 students on diverse areas.
The teachers and students of the college took active part in the Language Movement of the early 1950s, the mass movements of the 1960s and the War of Liberation of the country in 1971. The college produced tens of thousands graduates. Many of them have become famous at home and abroad. Noted among the alumni of the college are Sufi Motahar Hosen(poet), Abdul Hamid(sports organizer and sports journalist), Bhabatosh Dutta(economist), Premendra Mitra(writer and poet), AR Usuf(Bar-At-Law, state minister of Bangladesh in early 1980s), A KMA Rouf(artist), Anisuzzaman(educationist, researcher), Brojen Das(swimmer, the first Indian to across English channel) and so one. The leadership of University is striving to make this institution as a center of excellence for creating productive and responsible citizens of Bangladesh.
Jagannath University, a first grade educational institution of Bangladesh is going with outstanding contribution with around 28000 students. The university has 28 departments under 4 faculties.
The students are proud of a long history of their University. The University provides a high level education for the nation as well as the world. The students are active in various cultural activities.
Professor Dr. Mesbahuddin Ahmed is the current Vice Chancellor of the university whilst Prof. Dr. Sawkat Jahangir and Engr. Md. Ohiduzzaman are performing as Treasurer and Registrar of the university respectively.

বাংলার জাতীয় যা কিছু

জাতীয় পতাকা

সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা
প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার
পাখি দোয়েল
মাছ ইলিশ
ফুল সাদা শাপলা
ফল কাঁঠাল
গাছ আমগাছ
খেলা কাবাডি
পঞ্জিকা বাংলা পঞ্জিকা

বাংলাদেশ



শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ
 পটভূমি
বাংলাদেশ: দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যার আনুষ্ঠানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান নামে যে দেশটি সৃষ্টি হয়েছিলো, তার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ঘটেছে দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ; এছাড়াও প্রলম্বিত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও পুনঃপৌনিক সামরিক অভ্যুত্থান এদেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কিন্তু আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৩তম; ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। তবে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি (মূল্যস্ফীতি সমন্বয়কৃত) প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, এবং ১৯৯০-এর শুরুর দিককার তুলনায় দারিদ্র্যহার প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ "পরবর্তী একাদশ" অর্থনীতিসমূহের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য শহরের পরিবর্ধন বাংলাদেশের এই উন্নতির চালিকাশক্তিরূপে কাজ করছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে কাজ করেছে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ত্বরিৎ বিকাশ।
বাংলাদেশের বর্তমান সীমারেখা নির্ধারিত হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাগের সময়, নবগঠিত দেশ পাকিস্তানের পূর্ব অংশ (পূর্ব পাকিস্তান) হিসেবে। দেশটির উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম সীমানায় ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব সীমানায় মায়ানমার; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ ও ভারতীয় অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ একত্রে একটি অবিচ্ছিন্ন বাংলাভাষী অঞ্চল গঠন করে যার ঐতিহাসিক নাম “বঙ্গ” বা “বাংলা”। এর পূর্বাংশ বা পূর্ব বাংলা ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নামীয় পৃথক একটি আধুনিক জাতিরাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের উর্বর অববাহিকায় অবস্থিত এই দেশটিতে প্রায় প্রতি বছর মৌসুমী বন্যা হয়; আর ঘূর্ণিঝড়ও খুব সাধারণ ঘটনা। নিম্ন আয়ের এই দেশটির প্রধান সমস্যা পরিব্যাপ্ত দারিদ্র। তবে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বিশ্বব্যাংকের দেশভিত্তিক তথ্য অনুসারে দেশটি সাক্ষরতা বৃদ্ধি, শিক্ষাক্ষেত্রে লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।  তবে বাংলাদেশে এখনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে যার মধ্যে রয়েছে পরিব্যাপ্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে তলিয়ে যাবার শঙ্কা।
এদেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক ও বিমসটেক-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া দেশটি জাতিসংঘ, ডব্লিউটিও, ডব্লিউসিও, ওআইসি ও ডি-৮-এর সদস্য।

বাংলার ইতিহাস

উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর আগে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীতে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয় এবং স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিস্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মোঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীর নগর।
বাংলায় ইয়োরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়।
১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলশ্রুতিতে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়।  তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায় । ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয় ; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়।  ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়।  কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরীতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়। পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসাবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় ; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান।
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে। এ সময় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার অসহযোগিতা ও ঔদাসীন্য প্রকট হযে ওঠে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করতে থাকে।  মুজিবের সাথে গোলটেবিল বৈঠক সফল না-হওয়ার পর পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জেনারেল ইয়াহিয়া খান ২৫শে মার্চ গভীর রাতে মুজিবকে গ্রেপ্তার করেন এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের অংশ হিসাবে বাঙালিদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এই নারকীয় হামলাযজ্ঞে রাতারাতি বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেনাবাহিনী ও তার স্থানীয় দালালদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বুদ্ধিজীবী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। গণহত্যা থেকে নিস্তার পেতে প্রায় ১ কোটি মানুষ দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মোট জীবনহানির সংখ্যার হিসাব কয়েক লাখ হতে শুরু করে ৩০ লাখ পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁরা ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন। এর প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দিন আহমদ। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় ৯ মাস পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে লড়াই করে। মুক্তি বাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের সহায়তায় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে পরাভূত করে। মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজী ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পন করেন। প্রায় ৯০,০০০ পাকিস্তানী সেনা যুদ্ধবন্দী হিসাবে আটক হয়; যাদেরকে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে প্রথমে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু হয় ও শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে শুরুতে মুজিব সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করত: দেশে বাকশাল নামীয় রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট তারিখে সেনাবাহিনীর কিয়দংশ ও স্বীয় দলের কিছু রাজনীতিবিদের ষড়যন্ত্রে সংঘটিত অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হন।  পরবর্তী ৩ মাসে একাধিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা-অভ্যুত্থান চলতে থাকে, যার পরিসমাপ্তিতে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ নভেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরায় প্রবর্তন করেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রাম সফরের সময় আরেকটি অভ্যুত্থানে নিহত হন। অত:পর উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বাংলাদেশের পরবর্তী শাসক জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রক্তপাতবিহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। রাষ্ট্রপতি এরশাদ ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দেশ শাসন করেন। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে তাঁর পতন হয় এবং তিনি ক্ষমতা ত্যাগ করলে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী হিসাবে ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ হতে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ হতে ২০০১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দারিদ্র ও দুর্নীতির সত্বেও বাংলাদেশ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে তার অবস্থান সমুন্নত রেখেছে।
২০০১ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার গঠন করে এবং খালেদা জিয়া পুনরায় প্রধান মন্ত্রী হন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর নানা নাটকীয় পালা বদলের মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ফখরুদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেন। এই সরকার প্রায় দুই বৎসর ক্ষমতায় থাকে এবং সেনা সমর্থিত সরকার হিসাবে সমালোচিত হয়। তবে ফখরুদ্দিন সরকার ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক মহাজোট সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধান মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব লাভ করেন।