জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক সহ দুই জন আহত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে ছাত্রদলকে বরণ করে নিয়েছে ছাত্রলীগ। এখন ছাত্রলীগ নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। বর্তমানে ছাত্রলীগ ছাত্রদলকে দেখছে। পরবর্তী সরকার যদি বিএনপি সরকার হয় তবে ছাত্রদল ছাত্রলীগকে সমর্থন করবে। বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী দল ও বিরোধী দলের ছাত্রসংগঠন গুলো একে অপরের বিদ্বেষী। অতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন ৬০ ভাগ ও বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠন ৪০ ভাগ পুরান ঢাকার চাদাবাঁজি করে পেত। বর্তমান সরকার আসার পরে এ নজির আর দেখা যায়নি। তবে ১৭ সেপ্টেম্বর  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে বরণ করে নিয়েছে ছাত্রলীগ। বর্তমানে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
রোববার সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যঅলয়ের প্রধান গেটের সামনে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছে প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন সহ এক ছাত্রলীগ কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে জবি শাখা ছাত্রলীগের প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিনের সম্পর্কের বড় ভাইয়ের প্রাইভেট গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। এসময় জবি শাখা ছাত্রলীগের দ্বিতীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আরিফুজ্জামান গ্রুপের কর্মী আলাউদ্দিন, তরিকুল, রফিকুল, সহ প্রায় ৩০ জন মিলে একটি প্রাইভেট গাড়িকে উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি রড ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। তারা গাড়িটিকে মারতে মারতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নিয়ে যায়।
সূত্র আরো জানায়, এসময় গাড়ির ভিতরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিজামউদ্দিনের কর্মী রিয়ানকে ব্যাপক মারধর করে। তখন নিজামউদ্দিন তার কর্মী রিয়ানকে বাঁচাতে গেলে তিনিও মারধরের মধ্যে পড়েন। সেসময় রিয়ানকে আরিফ গ্রুপের কর্মীরা পাঁচবার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী বলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন এঘটনায় আহত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আহত যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন বলেন, আমার কর্মীকে ব্যাপক ভাবে মারধর করেছে আরিফ গ্রুপের কর্মীরা। এসময় তারা আমার বড় ভাইয়ের গাড়িটিকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। আমি তখন তার সঙ্গে ছিলাম। পরে আমি ঘটনাটির সমাধান করে দেই। তবে তাকে মারধরের প্রসঙ্গে তিনি কোন উত্তর দেননি।
তবে এ সম্পর্কে যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আরিফুজ্জামান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার কর্মীরা রিয়ানকে মারধর করে। আমি তাকে এখন দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছি। আমি এ বিষয়ে ছাত্রলীগের অন্যন্য আহ্বায়কদের সঙ্গে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।

2 comments:

  1. বাংলাদেশে সবই সম্ভব।

    ReplyDelete
  2. জিগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর রাজনীতির সাথে বাংলাদেশের অন্য কোন যায়গার মিল নেই। যেখানে হল নেই সেখানে রাজনৈতিক শিক্ষা কিভাবে হবে।

    ReplyDelete