প্রিয় সন্তানের জন্য, প্রিয়তম ভাষার জন্য |
লেখক: আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ: এডিটর www.Education24BD.com
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা কহিতে গেলে মনের গহীনে বড়ই অসন্তোষ জাগিয়া ওঠে। যাহাদের কর্তৃক এই দেশের ভার লইবার প্রয়োজন রহিয়াছে তাহাদের দেখা রাজনৈতিক মঞ্চ ময়দানে মিলিতে পাওয়া যাইতেছে না। আর যাইবেই বা কেন দেশের রাজনৈতিক যে হাল হইতে হইতে হইয়াছে সেইখানে পচা আবর্জনাই স্থান করিয়া লইয়াছে। পচা আবর্জনার গন্ধে সুঘ্রাণের কোনকিছু প্রবেশ করিতে পারিতেছে না। রাজনৈতিক অবস্থাদি বোধগম্য করানোর জন্য দেশের তৃনমূল রাজনীতির ময়দান কতটা কর্দমাক্ত সেই দিকটায় দৃষ্টিগোচর না করিলে দেশে সুশাসন তৈয়ার করিবার বিষয়টি অবান্তর হইয়া দেখা মিলিবে।
তৃনমূল নেতা-কর্মীদের বাৎচিত এর মধ্য দিয়া এই ব্যাপারটি বারংবার আমার
সামনে প্রকাশিত হইয়াছে যে রাজনীতি করিবার জন্য কোন জ্ঞান-শিক্ষার প্রয়োজন
নহে। সম-জাতের কতিপয় নিরেট জগদ্দল মিলিয়া দলের কোন মিটিং মিছিলে জড়ো
হইয়া “আমার” জনপ্রীতি রহিয়াছে বলিয়া ঐ দলের আরেক জগদ্দলকে বোধগম্য করানো
হচ্ছে তৃনমূল নেতা-কর্মীদের কাজ। নেতা বনিবার হাতিয়ার। আর এরকম চেইন অব
কমান্ডের মধ্য দিয়া আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের আবির্ভাব।
কতিপয় অপদার্থ জড়ো হইয়া স্বার্থসিদ্ধির কৌশল নিরূপণ করিতে পারাটাই
যেন বৃহৎ কোন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা হইতে পারিবার যোগ্যতার মানদণ্ড।
রাজনীতি কেন কাহারা এতে যোগদান করিবে? কাহারা নেতৃত্ব দিবে? অএ এলাকার
কাউকেই যদি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ হওয়ার মতো যোগ্যতা আছে বলিয়া প্রতীয়মান
না হয় এমতাবস্থায় কাহার সহিত মিলিত হইলে এর সুরাহা পাওয়া যাইবে? কিংবা
অত্র এলাকার সাদা মনের মানুষগুলো যিনি কল্যাণের রাজনৈতিক নীতি বহ করে
কিন্তু পচা আবর্জনার উপস্থিতির ভিড়ে সেই পথ রুদ্ধ হইয়া রহিয়াছে।
বড়-সড় কোন নেতা নহে শুধু তৃনমূল কোন নেতা কর্মীর সামাজিক অবস্থান,
তাহার রুটি রুজির উপর দৃষ্টিপাত করিলেই দেশের সার্বিক রাজনৈতিক কলুষিত
দিকসমূহ বাহির হইয়া আসিতে থাকিবে।
এই পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে যাহাদেরকেই বাৎচিত করিতে শুনিতে পাই
স্বার্থসিদ্ধির কৌশলই তাহাদের একমাত্র আলোচ্য ও উপজীব্য বিষয়। তাহাদের
রাজনৈতিক দলের উপর আনুগত্য স্বার্থকে উদ্ধার কৌশলের একটা সাইন বোর্ড মাত্র।
আর এই রাজনীতিবিদরা ধাপে ধাপে যতটাই উপরের পদবীতে অলংকৃত হন
স্বার্থসিদ্ধি কৌশল অপব্যবহার পরিমাণটাও এতটাই বেড়ে যায়। ইহার ফলে যেমন
নাগরিক তাহার অধিকার হইতে বঞ্চিত হইতেছে অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো সমাজের
কিছু আবর্জনাকে দলে স্থান দিয়া জনমনে দলীয় ব্রান্ডের সুনাম ক্ষুণ্ন
করিতেছে। যাহার ক্ষতি অপূরণীয়। সৈজন্যে http://www.education24bd.com/
বাংলাদেশের তৃনমূল নেতৃত্বের খুব খারাপ অবস্থা। এই মুহূর্তে সরকার সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ধংসের মুখে চলে যাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছাত্র সংগঠনগুলো।
ReplyDelete