০২ অক্টোবর ২০১২, মঙ্গলবার সাউথ এশিয়ান স্টাডি সার্কেল-এর উদ্যোগে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব নন ভায়োলেন্স’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান আহরণ ও বিতরণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হয়ে মহাত্মা গান্ধীর ন্যায় অহিংসনীতি অনুসরণ করতে হবে। সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি ইত্যাদি একই সূত্র গেঁথে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। কোন্ ধরনের দর্শন অবলম্বন করলে সমাজের শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয় সে বিষয়ে গবেষণা ও পর্যালোচনা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মন বলেন, “পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন কাজ হলেও কোন না কোন সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেলক্ষ্যে প্রতিটি মানুষকে মহাত্মা গান্ধীর জীবনাচরণ অনুসরণ করতে হবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে শান্তির চর্চা শুরু করলেই তা প্রকারান্তরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।”
দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদকীয় শাখার প্রধান জনাব অজয় দাসগুপ্ত বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরে গোটা বাঙালী জাতিকে একত্রিত করেছিলেন। তাঁর ডাকে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। কত লক্ষ বাঙালী নিহত হয়েছিল, কত মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছিল তা সংখ্যার বিচারে নয় একাত্তরে মানবতাবিরোধী কাজ করেছিল পাক সেনারা-এটাই চরম সত্য। এই মানবতাবিরোধী কাজের সাথে জড়িত ছিল এদেশের একশ্রেণীর রাজাকার, আল-বদর, আল-শাম্স। সেই রাজাকার, আল-বদর, আল-শাম্সদের দ্রুত বিচার করতে হবে।”
স্বাগত বক্তব্যে সাউথ এশিয়ান স্টাডি সার্কেলের পরিচালক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর ন্যায় অহিংস নীতির মাধ্যমে সমাজের মানুষের সেবা করে এগিয়ে যেতে হবে। দল, মত, গোষ্ঠী, নির্বিশেষে সকলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ আবু সালেহ সেকান্দার ‘একাত্তরের নারী নির্যাতন সম্পর্কে শর্মিলা বসুর মন্তব্য ঃ একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়ের মূল প্রতিপাদ্য হলো একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনা কর্তৃক নারী নির্যাতন সম্পর্কে শর্মিলা বসুর বক্তব্যের পর্যালোচনা। জনাব মোঃ আবু সালেহ সেকান্দার বলেন, “শর্মিলা বসু একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনা কর্তৃক নির্যাতনের যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা আদৌও সঠিক নয়। সেটি কেবল পাকিস্তানে প্রকাশিত কিছু জার্নাল, বই, পত্র-পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত্ত কিছু উদ্ভট ও বানোয়াট তথ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।”
এছাড়াও সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ ময়েনুল হক-এর ‘পিস র্পাসপেকটিভস্ ইন সাউথ এশিয়া: এ থিওরিটিক্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন এবং এশিয়ান স্টাডি সার্কেলের উপদেস্টা অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ রুহুল মোমেন। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব কাজী মোঃ নাসিরউদ্দীন এবং সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক জনাব শিল্পি রানী দে।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মন্ডলী এবঙং ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান চর্চা, জ্ঞান আহরণ ও বিতরণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হয়ে মহাত্মা গান্ধীর ন্যায় অহিংসনীতি অনুসরণ করতে হবে। সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি ইত্যাদি একই সূত্র গেঁথে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। কোন্ ধরনের দর্শন অবলম্বন করলে সমাজের শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয় সে বিষয়ে গবেষণা ও পর্যালোচনা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মন বলেন, “পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন কাজ হলেও কোন না কোন সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেলক্ষ্যে প্রতিটি মানুষকে মহাত্মা গান্ধীর জীবনাচরণ অনুসরণ করতে হবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে শান্তির চর্চা শুরু করলেই তা প্রকারান্তরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।”
দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদকীয় শাখার প্রধান জনাব অজয় দাসগুপ্ত বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরে গোটা বাঙালী জাতিকে একত্রিত করেছিলেন। তাঁর ডাকে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। কত লক্ষ বাঙালী নিহত হয়েছিল, কত মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছিল তা সংখ্যার বিচারে নয় একাত্তরে মানবতাবিরোধী কাজ করেছিল পাক সেনারা-এটাই চরম সত্য। এই মানবতাবিরোধী কাজের সাথে জড়িত ছিল এদেশের একশ্রেণীর রাজাকার, আল-বদর, আল-শাম্স। সেই রাজাকার, আল-বদর, আল-শাম্সদের দ্রুত বিচার করতে হবে।”
স্বাগত বক্তব্যে সাউথ এশিয়ান স্টাডি সার্কেলের পরিচালক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর ন্যায় অহিংস নীতির মাধ্যমে সমাজের মানুষের সেবা করে এগিয়ে যেতে হবে। দল, মত, গোষ্ঠী, নির্বিশেষে সকলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ আবু সালেহ সেকান্দার ‘একাত্তরের নারী নির্যাতন সম্পর্কে শর্মিলা বসুর মন্তব্য ঃ একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়ের মূল প্রতিপাদ্য হলো একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনা কর্তৃক নারী নির্যাতন সম্পর্কে শর্মিলা বসুর বক্তব্যের পর্যালোচনা। জনাব মোঃ আবু সালেহ সেকান্দার বলেন, “শর্মিলা বসু একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনা কর্তৃক নির্যাতনের যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা আদৌও সঠিক নয়। সেটি কেবল পাকিস্তানে প্রকাশিত কিছু জার্নাল, বই, পত্র-পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত্ত কিছু উদ্ভট ও বানোয়াট তথ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।”
এছাড়াও সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ ময়েনুল হক-এর ‘পিস র্পাসপেকটিভস্ ইন সাউথ এশিয়া: এ থিওরিটিক্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন এবং এশিয়ান স্টাডি সার্কেলের উপদেস্টা অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ রুহুল মোমেন। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব কাজী মোঃ নাসিরউদ্দীন এবং সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক জনাব শিল্পি রানী দে।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মন্ডলী এবঙং ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment