জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ভর্তিচ্ছু ছাত্র সহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী মো. ইমরান হোসেনকে আটক করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবারও ‘এ’ ই্উনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একই ধরণের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত দুইজনকে আটক করলেও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাদের ছেড়ে দেয় জবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, সাড়ে ৩ টায় পরীক্ষা শুরুর পর কলা ভবনের ১০০৭ নং কক্ষের পরীক্ষার্থী রুপম ইসলাম (রোল ১২৩০৭৯৮) কে সংশ্লিষ্ট হলের পরিদর্শক সন্দেহবশত তল্লাশী করলে ওই ছাত্রের কাছে মোবাইল পান। পরীক্ষার হলে কেউ মোবাইল রাখতে পারবে না এমন নির্দেশনা আগে থেকেই ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পরিদর্শক জানান, তার কাছে পাওয়া মোবাইলের আজকের পরীক্ষার উত্তর পত্র সংশ্লিষ্ট ২ টি এস.এম.এস পাওয়া যায়। যা ০১৬৮৫৬০২৮৯৫ নম্বর থেকে ৪ টা ৯ মিনিট একটি ও ৪ টা ১১ মিনিটে অপর এস.এম.এস টি পাঠানো হয়েছে।
পরে প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ছাত্র রুপম ইসলাম স্বীকার করেন যে, রানা নামের একজনের (প্রাণীবিদ্যা, ঢাকা কলেজ) সাথে তার ৩০ হাজার টাকায় উত্তর পত্র সরবরাহের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর আধ ঘন্টা আগে ৫ হাজার টাকা অগ্রীম প্রদান করেছে সে।
পরে নম্বরটি ধরে ফোন করলে জানা যায় এস.এম.এস.সরবরাহকারী জবি ছাত্রলীগের কর্মী ইমরান হোসেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্স)। ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে কামরুল ও বিপ্লব (ইতিহাস বিভাগ) নামের আরও দুইজন এ ঘটনায় জড়িত বলে জানান।
ইমরান,বিপ্লব, কামরুল জবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক শ্রাবণ গ্রুপের কর্মী এবং বর্তমানে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা যায়।
অন্যদিকে এক ছাত্রীকে উত্তক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি সমর্থকদের মধ্যে ধাওযা পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে অসমর্থিত সুত্র জানায়,উত্তর সরবরাহের ঘটনায় ইমরানের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার কারণে ঘটনাটি অন্যরকম মোড় দেয়ার জন্য ওই গ্রুপটি পরিকল্পিত ভাবেই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির পায়তারা করে।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের ঘটনার সাথে জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী নন।
সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, উত্তর পত্র সরবরাহের ঘটনায় জড়িতরা ছাত্রলীগ নামধারী। তারা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তী নষ্ট করার জন্যই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবি প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন,উত্তর পত্র সহ ছাত্র আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জবিসহ ঢাকা কলেজের ছাত্রের নাম পাওয়া যায়। পরে ইমরান নামের একজনসহ ভর্তিচ্ছু রুপম ইসলামকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সিন্ডিকেট খুজে বের করার ”েষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিবির সন্দেহে আটক ১
এদিকে শিবির সন্দেহে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক সাবেক ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করে জবি প্রশাসন।
এর আগে গত শুক্রবারও ‘এ’ ই্উনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একই ধরণের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত দুইজনকে আটক করলেও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাদের ছেড়ে দেয় জবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, সাড়ে ৩ টায় পরীক্ষা শুরুর পর কলা ভবনের ১০০৭ নং কক্ষের পরীক্ষার্থী রুপম ইসলাম (রোল ১২৩০৭৯৮) কে সংশ্লিষ্ট হলের পরিদর্শক সন্দেহবশত তল্লাশী করলে ওই ছাত্রের কাছে মোবাইল পান। পরীক্ষার হলে কেউ মোবাইল রাখতে পারবে না এমন নির্দেশনা আগে থেকেই ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পরিদর্শক জানান, তার কাছে পাওয়া মোবাইলের আজকের পরীক্ষার উত্তর পত্র সংশ্লিষ্ট ২ টি এস.এম.এস পাওয়া যায়। যা ০১৬৮৫৬০২৮৯৫ নম্বর থেকে ৪ টা ৯ মিনিট একটি ও ৪ টা ১১ মিনিটে অপর এস.এম.এস টি পাঠানো হয়েছে।
পরে প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ছাত্র রুপম ইসলাম স্বীকার করেন যে, রানা নামের একজনের (প্রাণীবিদ্যা, ঢাকা কলেজ) সাথে তার ৩০ হাজার টাকায় উত্তর পত্র সরবরাহের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর আধ ঘন্টা আগে ৫ হাজার টাকা অগ্রীম প্রদান করেছে সে।
পরে নম্বরটি ধরে ফোন করলে জানা যায় এস.এম.এস.সরবরাহকারী জবি ছাত্রলীগের কর্মী ইমরান হোসেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্স)। ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে কামরুল ও বিপ্লব (ইতিহাস বিভাগ) নামের আরও দুইজন এ ঘটনায় জড়িত বলে জানান।
ইমরান,বিপ্লব, কামরুল জবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক শ্রাবণ গ্রুপের কর্মী এবং বর্তমানে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা যায়।
অন্যদিকে এক ছাত্রীকে উত্তক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি সমর্থকদের মধ্যে ধাওযা পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে অসমর্থিত সুত্র জানায়,উত্তর সরবরাহের ঘটনায় ইমরানের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার কারণে ঘটনাটি অন্যরকম মোড় দেয়ার জন্য ওই গ্রুপটি পরিকল্পিত ভাবেই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির পায়তারা করে।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের ঘটনার সাথে জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী নন।
সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, উত্তর পত্র সরবরাহের ঘটনায় জড়িতরা ছাত্রলীগ নামধারী। তারা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তী নষ্ট করার জন্যই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবি প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন,উত্তর পত্র সহ ছাত্র আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জবিসহ ঢাকা কলেজের ছাত্রের নাম পাওয়া যায়। পরে ইমরান নামের একজনসহ ভর্তিচ্ছু রুপম ইসলামকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সিন্ডিকেট খুজে বের করার ”েষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিবির সন্দেহে আটক ১
এদিকে শিবির সন্দেহে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক সাবেক ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করে জবি প্রশাসন।
No comments:
Post a Comment