Normal breast with non–invasive ductal carcinoma in situ (DCIS) in an enlarged cross–section of the duct. |
আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল অঙ্কোলজির জার্নালে এবং স্তন ক্যানসার-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক গবেষণা পত্রিকা ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট ক্যানসার-এ তাদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্নটির উত্তরের ইঙ্গিত ছিল ২০০৮ সালে মার্কিন বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায়। স্তন ক্যানসার ফিরে আসার পেছনে তাঁরা দেখেন বিশেষ ধরনের স্টেম সেলের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
এবার কলকাতার একদল চিকিৎসক সেই সমাধান দিল। ব্রেস্ট ইন্টার গ্রুপ অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (বিইজিইই) ওই সদস্যদের গবেষণায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশের মধ্যেই বিশেষ স্টেম সেলটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
গবেষক দলের সদস্য আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সাধারণত যে অঙ্গের ক্যানসারে যে ধরনের কেমো ব্যবহারের চল নেই, আমরা সেটাই প্রয়োগ করি। যেমন: স্তন ক্যানসারে প্লাটিনাম গ্রুপের কেমো দেওয়া হয় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে সেটাই কাজ করছে! বাকি ক্ষেত্রে কেমোর বদলে ব্যবহার করা হয়েছে ক্যানসারের জিন প্রতিহত করার ওষুধ। তাতেও আশানুরূপ ফল এসেছে।’
ক্যানসারের চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আধা ঘুমন্ত কিছু ক্যানসার কোষ, যারা কেমোথেরাপিতেও মরে না, উপযুক্ত পরিবেশ তাদের আবার জাগিয়ে তুলতে পারে। আবার মাথা চাড়া দিতে পারে মারণ রোগ। তাই এমন কেমো প্রয়োজন, যা ওই কোষগুলোকেও মারবে।
উপযুক্ত পরিবেশ বলতে কী বোঝায়?
সুবীরের ব্যাখ্যা, এটি জিনগত বা হরমোন-সংক্রান্ত কারণ থাকতে পারে। দায়ী হতে পারে খাদ্যাভ্যাসও। স্তন ক্যানসার ‘ফিরে আসার’ নেপথ্যে যারা, সেই স্টেম সেলগুলো চিহ্নিত করা যাবে কীভাবে? আশিস বলেন, ফ্লোসাইটোমেট্রি নামের যন্ত্রে স্তনের টিস্যু পরীক্ষা করে তা সম্ভব। কিন্তু কোনো নারীর স্তন অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়ার পরে ওই কোষের অস্তিত্ব বোঝা যাবে? তাঁর জবাব, তখন স্তনের টিস্যু পাওয়া না গেলেও বোন ম্যারো পরীক্ষায় তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যাবে।
আপাতত খুব কম জায়গায় এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। ডা. আশিস বলেন, প্রথমে রুটিন কেমোথেরাপি দিয়ে রোগ আটকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। তার দুই-তিন সপ্তাহ বাদে বিকল্প ব্যবস্থা হবে। বিকল্প ওষুধটা ঠিক হবে স্টেম সেল পরীক্ষার পরে। তাতে সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগতে পারে।
No comments:
Post a Comment