জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিষ্টারের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮১০টি আসনের বিপরীতে ১৩,১৫৩ জন (বিজ্ঞান শাখা ১২,৯৬৬ জন এবং অন্যান্য ১৮৭ জন) পরীক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, ৪২,২৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪০,০৮৮ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। উক্ত ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও Website -এ (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে।

এছাড়াও, যে কোন মোবাইল থেকে ম্যাসেজের  মাধ্যমে এই ফলাফল জানা যাবে। এজন্য যে কোন মোবাইল থেকে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে JNU লিখে একটি Space দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে আবার একটি স্পেস দিয়ে ইউনিটের নাম (যেমন:A) লিখে ১৬২৪২ নম্বরে ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিলে ফিরতি ম্যাসেজে ফলাফল জানা যাবে। JNU <space> Roll Number <space> Unit A লিখে ১৬২৪২ নম্বরে সেন্ড করলে ফিরতি ম্যাসেজে ফলাফল জানা যাবে। মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচী পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও পত্রিকার মাধ্যমে জানানো হবে।

জবি আবৃত্তি সংসদের নতুন কমিটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ এর ২০১২-১৩ কমিটির সভাপতি পদে নাসির আহমেদ খান (গণিত) ও সাধারণ সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান লিখন (সমাজবিজ্ঞান) কে মনোনীত করা হয়েছে । এতে ২৫ টি পদের মধ্যে ৮টি পদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ১৭ টি পদের জন্য আগামী এক মাসের মধ্যে সংগঠনের ১০০ সদস্য পূর্ণ করে বাছাইকৃতদেরকে নব-নির্বাচিত কমিটি মনোনীত করবে । 

অন্য পদের সম্পাদকরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক- সাইফুল ইসলাম অভি (বাংলা ), অফিস সম্পাদক- উদ্দীপন মন্ডল ( সমাজকর্ম), উৎসব সম্পাদক- এনামুল কবির মিথুন (ইতিহাস), অর্থ-পর্যবেক্ষক সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান (ব্যবস্থাপনা), অর্থ-সম্পাদক-আরিফ উজ্জামান বাপ্পি (পরিসংখ্যান), কর্মশালা সম্পাদক- আলমগীর কবির (দর্শন) ।  

উল্লেখ্য এই কমিটির মেয়াদ আগামী ২০১৩ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

Seminar on significant difference between Dichotomous thinking and education level of the students Held at JnU Psychology Department

A scientific seminar was held on Dichotomous Thinking and Self-Esteem in the Sigmund Freud Conference Hall at the Department of Psychology, Jagnnath University. The seminar was organized by the Advanced Teaching-Learning in Psychology (ATLP)- a Sub-Project of Higher Education Quality Enhancement (HEQEP). 

The keynote paper of the seminar was presented by the Muhammad Akram Uzzaman, Assistant Professor of the Department of Psychology, Jagannath University. He was emphasis on the finding of his research that there is a significant difference between Dichotomous thinking and education level of the students. The findings of his research are very interesting and generate further research interest in this area. The seminar was presided by Dr. Asoke Kumar Saha who is a Proctor of Jagannath University and Sub-Project Manager of HEQEP. Dr. Noor Muhammad, Assistant Proctor and Assistant Professor of Psychology of the Jagannath University was given the welcome address of the seminar.

Among others faculty members of the department of psychology Prof. Dr. Kazi Saifuddin,  Md. Shahinuzzaman, Md. Sydur Rahaman, Farzana Ahmed (1), Samsab Afrin Himi, Kishore Kumar Roy and teachers from different department of Jagannath University were attended the seminar. A large number of students of undergraduate and graduate students of psychology also present the seminar.    

Oct 2012 জবি’র মনোবিজ্ঞান বিভাগে ‘দ্বৈত্ব ভাবনার সঙ্গে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্ম্পক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে  ‘দ্বৈত্ব ভাবনার সঙ্গে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্ম্পক’ বিষয়ক (১১.১০.১২) সকাল ১০.৩০ টায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারটির আয়োজক অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে বাস্তবায়নাধীন উচ্চশিক্ষার মানন্নোয়ন প্রকল্প (হেকেপ) এর একটি সাব-প্রজেক্ট। 

 অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগনের উপস্থিতিতে  অত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব আকরাম উজ্জামান তার গবেষনায় দ্বৈত্ব ভাবনার সাথে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার স্তরের সম্পর্কের বিষয়টি বিশদাকারে উপস্থাপন  করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব ড. অশোক কুমার সাহা, সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সহকারী প্রক্টর জনাব ড. নূর মোহাম্মাদ। উক্ত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী সাইফুদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান, ফারজনা আহমেদ(১) ও প্রভাষক জনাব কিশোর কুমার রায় ও সামসাব আরফিন হিমি এবং বিশ্বদ্যিালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকগন।

জবিতে ‘এ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ” ইউনিটের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটককৃত ভর্তিচ্ছু মোকাদ্দেস হোসেন, (ভর্তি পরীক্ষার রোল ১১১৮৭২২) বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করলেও কোন ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে  জবি প্রক্টর।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত জবিসহ রাজধানীর ২০ টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, সাড়ে তিনটায় পরীক্ষা শুরুর পর পরই নতুন ভবনের তৃতীয় তলার ৩১৫ নম্বর  কক্ষে মো. মোকাদ্দেস হোসেন, রোল ১১১৮৭২২ কে  চার্য করলে মোবাইলে এসএমএস পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পত্র পান ওই কক্ষের পরিদর্শক। খবর শুনে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থল গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মোস্তাফিজুর রহমান (হিসাবজ্ঞিান বিভাগ) প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এ ঘটনার সাথে বড়সিন্ডিকেট জড়িত এমন সন্দেহে মোস্তাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে এক পর্যায়ে প্রক্টরকে ধাক্কা দিয়ে মোস্থাফিজ দৌড়ে পালানোর চ্ষ্টো করে। পরে সহকারী প্রক্টর নূর মোহাম্মদ মোস্তাফিজকে পাকড়াও করে দুইজনকে প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ  করেন ও পরে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জৈষ্ঠ নেতাদো প্রায় দেড়ঘন্টার   বৈঠকের পর  মোস্থাফিজকে ছেড়ে দেয়া হয়। আবার জালিয়াতির সিন্ডিকেটের রোশানলে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কায় ওই হলের পরিদর্শকদের নামও প্রকাশ করা হয় নি।

এ সময় অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কোন তথ্য ধরণের তথ্য দেয় নি জবি প্রশাসনের কেউ। বৈঠক শেষে  বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অশোক কুমার সাহা কোন ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে এডুকেশন২৪কে বলেন, মোস্থাফিজ শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল। এসময় এক সহকারী প্রক্টর আহত হন। তাই তাকে ধরে মুসলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে ধৃত ভর্তিচ্ছু ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
তবে প্রক্টরের সামনে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ভর্তিচ্ছু মোসাদ্দেক হোসেন সংবাদকর্মীদের সাথে স্বীকার করে বলেন, মোবাইলে উত্তর পত্র দেখার সময় আমাকে আটক করা হয়। আজকে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে আসলে ওই বড়ভাই আমাকে এসএমএস এ উত্তর পাঠানের কথা বললে রাজি হ্ই। ওই উত্তরপত্র দেখে পাশ করলে পরে  টাকা দেব এমনটি বলেছিলাম।,এ ঘটনায় তার একার দোষ নেই বলে দাবি করেন তিনি। তার বাড়ী জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলালে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কামরুল আলম এডুকেশন২৪কে বলেন,হাতে নাতে নকলের অভিযোগে মোকাদ্দেসকে ধরেছে সংশ্লিষ্ট কক্ষের পরিদর্শক। তবে তিনি ওই কক্ষের পরিদর্শকদের নাম এড়িয়ে যান তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম এডুকেশন২৪কে বলেন, মোবাইলে এসএমএস প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে এমন অভিযোগে দুইজনকে আটকের খবর শুনে আমি ক্যাম্পাসে যাই। তবে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়,সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা স্বীকার করার পরেও ধৃত জালিয়াতিকারী মোকাদ্দেসকে পুলিশে দিলে মূল কারণ প্রকাশ পেলে ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হবে তাই তাকে পুলশে দেয়া থেকে বিরত থাকেন জবি প্রক্টর।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে শিবিরের মহিলাকর্মী সন্দেহে দুই ছাত্রীসহ তিন জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জবি প্রশাসন।