চর্যাপদ সংশ্লিষ্ট জিজ্ঞাসা

প্র: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শনের নাম কী?
উ: চর্যাচর্যবিনিশ্চয় বা চর্যাগীতিকোষ বা চর্যাগীতি বা চর্যাপদ।

প্র: চর্যাপদ কীসের সংকলন?
উ: গানের সংকলন।

প্র: চর্যাপদের বিষয়বস্তু কী?
উ: বৌদ্ধ ধর্ম মতে সাধন ভজনের তত্ব প্রকাশ।

প্র: চর্যাগুলো কারা রচনা করেন?
উ: বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।

প্র: চর্যায় কতজন কবির নাম পাওয়া গেছে?
উ: 23 মত্ন্তরে 24।

প্র: চর্যাপদে কয়টি পদ বা গান ছিল?
উ: 51 টি।

প্র: চর্যাপদের কবীদের নামের সঙ্গে ‘পা’ যুক্ত কেন?
উ: তারা পদ (কবিতা) রচনা করতেন বলে তাদের সম্মান করে পাদ বলা হত; আজ যেমন বলা হয় কবি। পাদ>পা হয়েছে।

প্র: কোন কবি সর্বাপেক্ষা বেশি পদ রচনা করেন? 
উ: কাহ্নপা। 13 টি পদ রচনা করেন। ১২ টি পাওয়া গেছে।

প্র: কোন কবি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লেখেন?
উ: ভুসুকুপা; ৮টি।

প্র: কোন কবি রচিত পদটি পাওয়া যায়নি?
উ: তন্ত্রীপা ( না- পাওয়া পদ নং-২৫)

প্র: চর্যাপদ গ্রন্থে মোট কয়টি পদ পাওয়া গেছে?
উ: সাড়ে ছেচল্লিশটি ( একটি পদের ছেড়া বা খন্ডিত অংশসহ)

প্র: চর্যায় কোন পদটি খন্ডিত আকারে পাওয়া গেছে? 
উ: ২৩ নং পদটি। এর ৬টি পঙক্তি পাওয়া গেছে বাকি ৪টি পঙক্তি পাওয়া যায়নি।

প্র: চর্যার পদগুলো কোন ভাষায় রচিত?
উ: সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষায় রচিত।

প্র:  সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা কী?
উ: যে ভাষা সুনির্দিষ্ট রূপ পায়নি, যে ভাষায় অর্থও একাধিক অর্থাৎ আলো-আঁধারের মত, সে ভাষাকে পন্ডিতগন সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা বলেছেন।

প্র: চর্যাপদ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত প্রথম পদটি কার লেখা?
উ: লুইপা।


সাহিত্য বিষয়ক জিজ্ঞাসা

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর

প্র: সাহিত্য কথাটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
উ: ‘সহিত’ শব্দ থেকে।
প্র: " একের ‘সহিত‘ আন্যের মিলনের মাধ্যমই হল সাহিত্য”- কে বলেছেন?
উ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্র: বাঙালির প্রথম উত্তরাধিকার বলতে কী বোঝায়?
উ: ভারতীয় পুরাণ থেকে সাহিত্যবস্তু গ্রহন।
প্র: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন গ্রন্থের নাম কী?
উ: চর্যাপদ।
প্র:  বাঙালী কখন থেকে আপন বিশিষ্ট স্বভাবধর্মে স্থিতি লাভ করে?
উ: পাল আমল থেকে।
প্র: প্রাচীন বাংলার জনপদ ও অর্থনীতির পরিচয় কার গ্রন্থে প্রথম গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করা হয়েছে?
উ: ড. নীহাররঞ্জন রায়ের ‘বাঙালীর ইতিহাস‘ গ্রন্থে।

বাংলা সাহিত্য ও এর যুগ বিভাজন

বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীতে বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার সূত্রপাত হয়। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত বৌদ্ধ দোঁহা-সংকলন চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছিল কাব্যপ্রধান। হিন্দুধর্ম, ইসলাম ও বাংলার লৌকিক ধর্মবিশ্বাসগুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এই সময়কার বাংলা সাহিত্যের। মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলি, শাক্তপদাবলি, বৈষ্ণব সন্তজীবনী, রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের বঙ্গানুবাদ, পীরসাহিত্য, নাথসাহিত্য, বাউল পদাবলি এবং ইসলামি ধর্মসাহিত্য ছিল এই সাহিত্যের মূল বিষয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণের যুগে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। এই সময় থেকে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বদলে মানুষ, মানবতাবাদ ও মানব-মনস্তত্ত্ব বাংলা সাহিত্যের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। ১৯১৩ সালে বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বাংলা সাহিত্যও দুটি ধারায় বিভক্ত হয় – কলকাতা-কেন্দ্রিক পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য ও ঢাকা-কেন্দ্রিক পূর্ব পাকিস্তান-বাংলাদেশের সাহিত্য। বর্তমানে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের একটি অন্যতম সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।

যুগ বিভাজন:
বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাস প্রধানত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত:

    আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ (আনুমানিক ৯০০ খ্রি.–১২০০ খ্রি.)
    মধ্যযুগ (১২০০ খ্রি.– ১৮০০ খ্রি.)
    আধুনিক যুগ (১৮০০ খ্রি. – বর্তমান কাল)।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ইতিহাসের মতো নির্দিষ্ট সালতারিখ অনুযায়ী সাহিত্যের ইতিহাসের যুগ বিভাজন করা সম্ভব নয়। যদিও সাহিত্যের ইতিহাস সর্বত্র সালতারিখের হিসেব অগ্রাহ্য করে না। সাহিত্যকর্মের বৈচিত্র্যে ও বৈশিষ্ট্যে নির্দিষ্ট যুগের চিহ্ন ও সাহিত্যের বিবর্তনের ধারাটি বিশ্লেষণ করেই সাহিত্যের ইতিহাসে যুগবিভাগ করা হয়ে থাকে।

৪ নভেম্বর খুলবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ৪ নভেম্বর (রবিবার) থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, বিভাগীয় ও প্রশাসনিক অফিসসমূহ খুলবে। শারদীয় দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ২২ অক্টোবর (সোমবার) হতে ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসসমূহ এবং ২৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় ও প্রশাসনিক অফিসসমূহ বন্ধ ছিল। 

বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে আনন্দ উৎসবে মেতে ছিল বাংলার জনগন। একই সাথে শারদীয় দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও ঈদ-উল-আযহার উৎসবে সবাই যেন ভুলে গিয়েছিল কন্ঠকাকীর্ণ দৈনন্দিন জীবনের কথা। শত ব্যস্ততার মধ্যে যখন কোন ধর্মীয় উৎসব আসে তখন সবাই যেন ভুলে যায় সকল ব্যাস্ততা। কিন্তু উৎসব ক্ষণিকের। একসময় সবাইকে ফিরতে হবে তার কর্মক্ষেত্রে। এবারও শেষ হল উৎসবের পালা। ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে যার যার কর্মক্ষেত্রে।

সিলেট বিভাগ

সংক্ষপ্তি বিবরন
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধময় প্রাচীন জনপদ সিলেট বিভাগ। অবারিত সবুজ আর উচু উচু পাহাড়ের অপরুপ সৈন্দর্যে সিলেট বিভাগ হয়ে উঠেছে উজ্জল ও প্রানবন্ত। স্বাধীনতা সংগ্রামে সিলেট বিভাগের জনগনের ভুমিকা ইতিহাস খ্যাত।

সিমানা: সিলেট বিভাগের উত্তরে ভারতের আসাম রাজ্য, দক্ষিনে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগ। পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য এবং পশ্চিমে ঢাকা বিভাগ অবস্থিত।

আয়তন: সিলেট বিভাগের আয়তন প্রায় বার হাজার সাতশত সতের বর্গ কিলোমিটার।

জনসংখ্যা: সিলেট বিভাগের জনসংখ্যা প্রায় সত্তর লক্ষ বাহাত্তর হাজার জন।

জেলা: সিলেট বিভাগ মাত্র চারটি জেলা নিয়ে গঠিত। জেলা গুলো হল:
১.    সিলেট
২.    সুনামগঞ্জ
৩.    মৌলভীবাজার এবং
৪.    হবিগঞ্জ