জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডি ইউনিট’ ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস

আগামী ৯ নভেম্বর (শুক্রবার) একযোগে একুশটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিকাল ৩:০০ থেকে ৪:৩০টা পর্যন্ত ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ‘ডি’ ইউনিটে ৫৪০টি  আসনের (মানবিক-৪১০টি, বিজ্ঞান-৮১টি, বাণিজ্য ও অন্যান্য-৪৯টি) বিপরীতে ৪৩,৬৬২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে।
১৪০০০০১ থেকে ১৪০৭৫০০ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (সদরঘাট সংলগ্ন),
১৪০৭৫০১ থেকে ১৪০৮৮০০ পর্যন্ত পগোজ স্কুলে (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন),
১৪০৮৮০১ থেকে ১৪০৯৮০০ পর্যন্ত ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে (সদরঘাট, ঢাকা),
১৪০৯৮০১ থেকে ১৪১০৮০০ পর্যন্ত ঢাকা গভর্ণমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল (বাহাদুরশাহ পার্ক, ঢাকা),
১৪১০৮০১ থেকে ১৪১২৮০০ পর্যন্ত সরকারি কবি নজরুল কলেজে (লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা),
১৪১২৮০১ থেকে ১৪১৪৩০০ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে (লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা),
১৪১৪৩০১ থেকে ১৪১৬৩২০ পর্যন্ত সরকারি শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কলেজে (লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা),
১৪১৬৩২১ থেকে ১৪১৭৭২০ পর্যন্ত ফজলুল হক মহিলা কলেজে (গেন্ডেরিয়া, ঢাকা),
১৪১৭৭২১ থেকে ১৪১৯৭২০ পর্যন্ত শেখ বোরহানুদ্দিন কলেজে (চানখাঁরপুল, ঢাকা),
১৪১৯৭২১ থেকে ১৪২০৯৭০ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং ইউভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজে (বুয়েট ক্যাম্পাস, ঢাকা),
১৪২০৯৭১ থেকে ১৪২২৩৭০ পর্যন্ত উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা),
১৪২২৩৭১ থেকে ১৪২৩৫৭০ পর্যন্ত আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে (আজিমপুর, ঢাকা),
১৪২৩৫৭১ থেকে ১৪২৪৭৭০ পর্যন্ত অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজে (আজিমপুর, ঢাকা),
১৪২৪৭৭১ থেকে ১৪৩০৭৭০ পর্যন্ত ইডেন মহিলা কলেজে (আজিমপুর, ঢাকা),
১৪৩০৭৭১ থেকে ১৪৩২২৭০ পর্যন্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে (আজিমপুর, ঢাকা),
১৪৩২২৭১ থেকে ১৪৩৫২৭০ পর্যন্ত ঢাকা কলেজে (ঢাকা),
১৪৩৫২৭১ থেকে ১৪৩৭০৩৫ পর্যন্ত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে (মিরপুর, ঢাকা),
১৪৩৭০৩৬ থেকে ১৪৩৮৭৩৫ পর্যন্ত আইডিয়াল কলেজে (সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা),
১৪৩৮৭৩৬ থেকে ১৪৪০২৩৫ পর্যন্ত ধানমন্ডি গভর্ণমেন্ট বয়েজ স্কুলে (ধানমন্ডি, ঢাকা),
১৪০০২৩৬ থেকে ১৪৪১৭৩৫ পর্যন্ত মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (মতিঝিল, ঢাকা),
১৪৪১৭৩৬ থেকে ১৪৪৩৬৯১ পর্যন্ত এবং ১৪৪৩৭০১ থেকে ১৪৪৩৭০৮ পর্যন্ত মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার দিনে এইচ.এস.সি./সমমান-এর মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও তার দুই কপি সত্যায়িত ফটোকপি এবং দুই কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবির পেছনে পরীক্ষার্থীর নাম, SMS -এর মাধ্যমে প্রাপ্ত রোল নম্বর বাংলায় ও ইংরেজিতে লিখে উক্ত ছবি দুটির প্রত্যেকটি পৃথকভাবে ফটোকপিকৃত রেজিস্ট্রেশন কার্ডের বাম দিকে উপরে স্ট্যাপলার পিন দিয়ে সংযুক্ত করে অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপির উপরের অংশে উক্ত রোল নম্বর বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থী কর্তৃক আনিত এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষার ফটোকপিকৃত (সত্যায়িত) দুইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ডের একটি শিক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র হিসেবে প্রদান করবে। অন্যটি পরীক্ষার হলে জমা রাখা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা সংরক্ষণ করবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ঘড়ি বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত আসনবিন্যাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইট-এ (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাচ্ছে।

জবিতে শিবির কর্মী আটক: আবারও শিবির কর্মীর তালিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে জবি প্রশাসন। বিগত সময়ে আটককৃত শিবির কর্মীদের তালিকায় তার নাম উল্লেখ আছে বলে জানান জবি প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা কয়েকদিন আগে আটককৃত শিবির কর্মীর দেওয়া তালিকার সূত্র ধরে মো. মশিউর রহমান নামের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও শিবির কর্মীকে আটক করেন এবং তাকে বেধড়ক পিটিয়ে প্রক্টরের কাছে নিয়ে যান। প্রক্টর সঙ্গে সঙ্গে ওই শিবির কর্মীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
জবি সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে আটকের পর ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে মারপিট করে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে শিবির কর্মী নন বলে দাবী করেন কিন্তু আবারও কয়েকজন শিবির কর্মীর তালিকা দেন। পরে জবি প্রশাসন তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যদের কাছে সোপর্দ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে জামায়াত শিবির দেশে অস্থিতিশীল কৃতিকলাপ করছে। কেউ যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে এমনটি বিবেচনায় রেখে আটককৃতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় জামায়াত-শিবিরের তান্ডবের প্রতিবাদে গতকাল দুপুর দুইটায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

ছাত্রী হলের জায়গা বরাদ্ধ: জবি পরিবারের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ

পুরান ঢাকার জনসন রোডস্থ (৩/১ জনসন রোড) খাস জমি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।উপলেক্ষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আনন্দ-উল্লাসে মিছিল এবং সমাবেশ করে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভাগ্য খুলল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। সবকিছু থাকার পরেও যেন কী নেই নেই মনে হয়। সেই শুন্যতা পূরণে একধাপ এগিয়ে গেল ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই নয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

এই আনন্দে সোমবার দুপুর দেড়টায় শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সমস্ত ক্যাম্পাস পদক্ষিণ শেষে ২ টায় ভাস্কর্য চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ ড. সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন , নীলদলের আহবায়ক অধ্যাপক জাকারিয়া মিয়াসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফ.এম শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এস.এম. সিরাজুল ইসলাম, জবি ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মানোয়ার হোসেন প্রমূখ। কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “অতি শীঘ্রই উক্ত জায়গায় একটি ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি বেদলকৃত হল/হলের জায়গা পর্যায়ক্রমে অধিগ্রহণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায়  নতুন এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসান, পরিবহন, শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে বর্তমান প্রশাসন সবধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।”

আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল এক ভিন্ন ধরনের অনুভুতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর হল না থাকায় সবার মনের মধ্যে এক চাপা কষ্ট অনুভুতি ছিল। বিভিন্ন সময়ে হলের জন্য আন্দোলন করে কোন শুভ ফল পায়নি শিক্ষার্থীরা। নতুন হলের যায়গা বরাদ্ধ পাওয়ার পর আন্নদ ধরে রাখতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। একে আপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ প্রকাশ করে তারা।

মিছিল চলাকালীন সময়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের আকবর বলেন, ’আজ যে কী আনন্দ লাগছে তা প্রকাশ করতে পারছিনা। আমরা হল পেতে যাচ্ছি এখনও বিশ্বাস হচ্ছেনা।’

১০ অক্টোবর, ২০১২, সোমবার তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত প্রেরিত অনুলিপি অনুসারে ৩/১ জনসন রোডস্থ (১নং খাস খতিয়ানের, সি, এস-৮৮, এস,এ-৬৮১, আর,এস-১০৩১ এবং মহানগর ৩৩০ নং দাগের ০.৩৪২২ একক) ‘খাসজমি ব্যবস্থাপনাবন্দোবস্ত’ নীতিমালার ৩.০ (গ) অনুচ্ছেদ অনুসারে জগন্নাথ বিশ্বববিদ্যালয়ের অনকূলে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের বিষয়টি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

পরিবহন সঙ্কট ইস্যুতে জবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান ধর্মঘট

পরিবহন সঙ্কট নিরসনের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
রোববার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে  প্রায় ৫০ জন শিক্ষক এ ধর্মঘট পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া গাড়িগুলো বদল করে নতুন গাড়ির দাবী করেন ধর্মঘটে অববস্থানকারী শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. সেলিম বলেন, “শিক্ষকদের পরিবহন সঙ্কট নিরসন এবং পুরনো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া  গাড়গুলো বদল না করা পর্যন্ত আমরা এ ধর্মঘট চালিয়ে যাব।
এ প্রসঙ্গে উপার্চায মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কথা বলে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।”
শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় তাদের প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে এসে নির্ধারিত সময়ে ক্লাস নিতে হয়। অথচ প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষকের জন্য বাস রয়েছে মাত্র পাঁচটি। এ কারণে মিরপুর, উত্তরা, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে আসতে প্রতিদিন ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক এডুকেশন২৪কে বলেন, লোকাল বাসে করে ঝুলে ঝুলে আসা, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কী করে শোভা পায়? এ কারণে মাঝে মাঝে দেরিতে আসায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারেননা শিক্ষকরা।
শিক্ষক আবাসন না থাকা এবং পরিবহন ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি তীব্র সেশনজটের ও কারণ বলে উল্লেখ করেন শিক্ষকদের একটি মহল।

চর্যাপদ সংশ্লিষ্ট জিজ্ঞাসা

প্র: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শনের নাম কী?
উ: চর্যাচর্যবিনিশ্চয় বা চর্যাগীতিকোষ বা চর্যাগীতি বা চর্যাপদ।

প্র: চর্যাপদ কীসের সংকলন?
উ: গানের সংকলন।

প্র: চর্যাপদের বিষয়বস্তু কী?
উ: বৌদ্ধ ধর্ম মতে সাধন ভজনের তত্ব প্রকাশ।

প্র: চর্যাগুলো কারা রচনা করেন?
উ: বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।

প্র: চর্যায় কতজন কবির নাম পাওয়া গেছে?
উ: 23 মত্ন্তরে 24।

প্র: চর্যাপদে কয়টি পদ বা গান ছিল?
উ: 51 টি।

প্র: চর্যাপদের কবীদের নামের সঙ্গে ‘পা’ যুক্ত কেন?
উ: তারা পদ (কবিতা) রচনা করতেন বলে তাদের সম্মান করে পাদ বলা হত; আজ যেমন বলা হয় কবি। পাদ>পা হয়েছে।

প্র: কোন কবি সর্বাপেক্ষা বেশি পদ রচনা করেন? 
উ: কাহ্নপা। 13 টি পদ রচনা করেন। ১২ টি পাওয়া গেছে।

প্র: কোন কবি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লেখেন?
উ: ভুসুকুপা; ৮টি।

প্র: কোন কবি রচিত পদটি পাওয়া যায়নি?
উ: তন্ত্রীপা ( না- পাওয়া পদ নং-২৫)

প্র: চর্যাপদ গ্রন্থে মোট কয়টি পদ পাওয়া গেছে?
উ: সাড়ে ছেচল্লিশটি ( একটি পদের ছেড়া বা খন্ডিত অংশসহ)

প্র: চর্যায় কোন পদটি খন্ডিত আকারে পাওয়া গেছে? 
উ: ২৩ নং পদটি। এর ৬টি পঙক্তি পাওয়া গেছে বাকি ৪টি পঙক্তি পাওয়া যায়নি।

প্র: চর্যার পদগুলো কোন ভাষায় রচিত?
উ: সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষায় রচিত।

প্র:  সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা কী?
উ: যে ভাষা সুনির্দিষ্ট রূপ পায়নি, যে ভাষায় অর্থও একাধিক অর্থাৎ আলো-আঁধারের মত, সে ভাষাকে পন্ডিতগন সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা বলেছেন।

প্র: চর্যাপদ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত প্রথম পদটি কার লেখা?
উ: লুইপা।