ভর্তিতে অনিয়ম প্রমাণ দিতে পারলে আত্মহত্যা করব : জবি ট্রেজারার

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগের চালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অনিয়ম প্রমাণে নিজে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টরা এ চালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার মো. সেলিম ভূঁইয়া। এ সময় ভর্তি প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ার সাক্ষাৎকার স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলছে। সকল শর্তপূরণ করলেই যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের বিষয় প্রদান করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাক্রম তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (www.jnu.ac.bd)-এ রয়েছে।

তিনি জানান, ভর্তিসংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিট কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কাজেই এককভাবে কাউকে অভিযুক্ত করা একান্তই অবান্তর।

ভর্তি প্রক্রিয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা বলেন, কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদনে স্নাতক প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিষয় প্রদানে মেধাতালিকার ক্রম অনুসরণ না করার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অর্থের বিনিময়ে পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের ভালো বিষয়ের ভর্তির অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি অবান্তর। এখানে দলীয় বিবেচনায় ও অর্থের বিনিময়ে কোনো পরীক্ষার্থীদের বিষয় প্রদান করা হয়নি। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, ভাইভাতে কমিটি চেয়ারম্যান বলতে কোনো পদ নেই। ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান ভর্তি কমিটির কেবলমাত্র একজন ইউনিট সদস্য। ইউনিট সদস্য হিসেবে তিনি পুরো বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া কার্যত কোন কাজ সম্পাদন করতে পারেন না।

No comments:

Post a Comment