এই ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ নিজস্ব এবং জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়াক ফেসবুক পেজের পোস্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ধর্ষণের
পর হত্যার শিকার ফরিদপুরের নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী জাকিয়া আক্তার চম্পার
দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিস্কার করে কিছু উল্লেখ করেননি
চিকিৎসকরা। সোমবার ফরিদপুরের আদালতে দাখিল করা পুন:ময়নাতদন্ত রিপোর্টে
‘ওপিনিয়ন পেনডিং’ উল্লেখ করে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকার মহাখালীতে
পাঠানোর সুপরিশ করা হয়েছে। পরে চম্পার লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে
হস্তান্তর করা হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি সৈয়দ মোহসিনুল হক
জানান, পুন:ময়নাতদন্তে মতামতের স্থলে ‘ওপিনিয়ন পেনডিং’ লেখা রয়েছে। এর মানে
কি তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরাই ভালো বলতে পারবেন।
পুন:ময়নাতদন্তের
জন্য গঠিত তিন সদস্যের চিকিৎসক দলের অন্যতম ডা. খবিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের
জানান, আমরা চম্পার মরদেহের বিভিন্ন আলামত ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকার
মহাখালীতে পাঠিয়েছি। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্তের
রিপোর্ট দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে চাচাতো বোনের
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে কৌশলে চম্পাকে তুলে নিয়ে যায় দুস্কৃতিকারীরা। পর
দিন ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ স্কুলছাত্রী চম্পার লাশ গ্রামের একটি মেহগনি গাছ
থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতের ভাই হাসিবুল ইসলাম থানায় হত্যা মামলা করে।
পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
প্রথম দফা ময়নাতদন্তে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার
অঞ্জন কুমার দাস মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে হৈ-চৈ
শুরু হয়। পরবর্তীতে বাদির আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ফের ময়নাতদন্তের
নির্দেশ দেন। শনিবার ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশ কবর
থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়। সেই রিপোর্টের সাথে প্রথমদফা
সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের আকাশ-পাতাল ফারাক ছিল।
এতে বিচারপ্রার্থী
পরিবারের সদস্য ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা খুঁজে পেলেও
শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের চিকিৎসকরা ম্যাজিস্ট্রেটের সুরতহাল রিপোর্ট
প্রত্যাখান করেন এবং লাশের পুন:ময়নাতদন্ত না করেই মর্গ থেকে ফিরে যান।
রবিবার ফরিদপুরের বিভিন্ন সংগঠন ও এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে মাঠে নামলে
চাপের মুখে পুন:ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। তারা
‘ওপিনিয়ন পেনডিং’ উল্লেখ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে
অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে মামলার প্রধান
আসামী রাজবাড়ীর মূলঘর ইউনিয়নের সাইবাড়িয়া গ্রামের হাকিম মন্ডলের ছেলে
চরমপন্থি সদস্য একাধিক মামলার আসামী শামীম এখানো গ্রেপ্তার হয়নি। তার অপর
তিন সহযোগি আসামী ছালাম, বাবু ও পারভীনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
No comments:
Post a Comment