'স্বাধীনতা লাভের পরও রয়ে গেছে স্বাধীনতার শত্রু'
জবি রিপোর্টার
বাংলাদেশ
এমন একটি দেশ যেখানে স্বাধীনতা লাভের পরও রয়ে গেছে স্বাধীনতার শত্রু। আজও
তারা পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তারা বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
বাচ্চু রাজাকরের ফাঁসির রায় ঘোষণায় আনন্দ র্যালি শেষে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত সমাবেশে গতকাল এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সেলিম। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. এসএম আনোয়ারা বেগম, গেরিলা যোদ্ধা শাহ মাহবুব হাসান পাশা, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জাম শাহীন প্রমুখ। বক্তারা ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাচ্চু রাজাকারকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানায়। দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আনন্দ র্যালী বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগ সভাপতি এফ এম
শরীফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম।
Link: http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=2&pub_no=536&news_type_id=1&index=3
অশোভন আচরণ করায় অবরুদ্ধ জবি ছাত্রলীগের সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় গত শনিবার রাতে অবরুদ্ধ হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম শরিফ। রাজধানীর পুরান ঢাকার কলতাবাজারের বার্গার হাউসের মালিকের সঙ্গে গত শনিবার রাতে অশোভন আচরণ করেন শরিফ ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনার জের ধরে তাদেরকে আটক ও শারীরিক আঘাত করা হয়। এতে শরিফের মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় গত শনিবার রাতে অবরুদ্ধ হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম শরিফ। রাজধানীর পুরান ঢাকার কলতাবাজারের বার্গার হাউসের মালিকের সঙ্গে গত শনিবার রাতে অশোভন আচরণ করেন শরিফ ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনার জের ধরে তাদেরকে আটক ও শারীরিক আঘাত করা হয়। এতে শরিফের মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
একই দিন গভীর রাতে ছাত্রলীগের ৪০ থেকে ৫০ নেতাকর্মী বার্গার হাউস থেকে তাকে মুক্ত করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করে। এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের ১০-১২ কর্মী বার্গার হাউসে হামলা করে। বার্গার হাউস বন্ধ থাকায় তারা কিছু সময় ইট-পাটকেল ছুড়ে চলে যায়। সূত্র জানায়, গত শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও এক সাংবাদিক কলতাবাজারের এক বার্গার হাউসে এসে খাচ্ছিলেন। রাত বেশি হওয়ায় দোকানের মালিক তাদেরকে বিল পরিশোধের অনুরোধ জানান। কিন্তু ওই সময় সভাপতি ও দোকান মালিকের সঙ্গে বিল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি দোকান মালিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় দোকান মালিকের ডাকে কলতাবাজারের স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে আধাঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এ প্রসঙ্গে জানতে জবি শাখার সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সভাপতি বাসা থেকে নামতে গেলে টিনের আঘাতে মাথা ফেটে যায়।
সূত্র: সকালের খবর। নিউজ লিংক: http://www.shokalerkhabor.net/details_news.php?id=121006&&+page_id=+29
ভর্তিতে অনিয়ম প্রমাণ দিতে পারলে আত্মহত্যা করব : জবি ট্রেজারার
সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগের চালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অনিয়ম প্রমাণে নিজে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টরা এ চালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার মো. সেলিম ভূঁইয়া। এ সময় ভর্তি প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ার সাক্ষাৎকার স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলছে। সকল শর্তপূরণ করলেই যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের বিষয় প্রদান করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাক্রম তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (www.jnu.ac.bd)-এ রয়েছে।
তিনি জানান, ভর্তিসংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিট কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কাজেই এককভাবে কাউকে অভিযুক্ত করা একান্তই অবান্তর।
ভর্তি প্রক্রিয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা বলেন, কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদনে স্নাতক প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিষয় প্রদানে মেধাতালিকার ক্রম অনুসরণ না করার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অর্থের বিনিময়ে পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের ভালো বিষয়ের ভর্তির অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি অবান্তর। এখানে দলীয় বিবেচনায় ও অর্থের বিনিময়ে কোনো পরীক্ষার্থীদের বিষয় প্রদান করা হয়নি। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, ভাইভাতে কমিটি চেয়ারম্যান বলতে কোনো পদ নেই। ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান ভর্তি কমিটির কেবলমাত্র একজন ইউনিট সদস্য। ইউনিট সদস্য হিসেবে তিনি পুরো বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া কার্যত কোন কাজ সম্পাদন করতে পারেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ অনার্স-এর ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকার সম্পর্কিত প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা
সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ অনার্স-এর ভর্তি সাক্ষাৎকার সম্পর্কিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সকল অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার স্বচ্ছভাবে ও নিয়মমাফিক সম্পন্ন করা হচেছ। সকল শর্তপূরণ সাপেক্ষেই যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয় প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের ভালো বিষয়ের ভর্তির অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর। এখানে দলীয় বিবেচনায় কোন পরীক্ষার্থীদের বিষয় প্রদান করা হয়নি। একটি কুচক্রী মহল ভূয়া ভর্তি ফরম ও মনোনয়ন ফরম ছাপিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এধরনের ঘটনা ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট ধরা পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য যে কোন কারণে কোন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী উক্ত কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় তার নায্য প্রাপ্য বিষয় থেকে বঞ্চিত হলে এবং এই মর্মে তথ্য প্রমাণাদিসহ কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন করলে সে আবেদন কর্তৃপক্ষ অবশ্যই বিবেচনা করবে। এ বিষয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)