জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আবারো জালিয়াতির অভিযোগ:- আটক ২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ভর্তিচ্ছু ছাত্র সহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী মো. ইমরান হোসেনকে আটক করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবারও ‘এ’ ই্উনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একই ধরণের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত দুইজনকে আটক করলেও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাদের ছেড়ে দেয় জবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, সাড়ে ৩ টায় পরীক্ষা শুরুর পর কলা ভবনের ১০০৭ নং কক্ষের পরীক্ষার্থী রুপম ইসলাম (রোল ১২৩০৭৯৮) কে  সংশ্লিষ্ট হলের পরিদর্শক সন্দেহবশত তল্লাশী করলে ওই ছাত্রের কাছে মোবাইল পান। পরীক্ষার হলে কেউ মোবাইল রাখতে পারবে না এমন নির্দেশনা আগে থেকেই ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পরিদর্শক জানান, তার কাছে পাওয়া মোবাইলের আজকের পরীক্ষার উত্তর পত্র সংশ্লিষ্ট ২ টি এস.এম.এস পাওয়া যায়। যা ০১৬৮৫৬০২৮৯৫ নম্বর থেকে  ৪ টা ৯ মিনিট একটি  ও ৪ টা ১১ মিনিটে অপর এস.এম.এস টি পাঠানো হয়েছে।
পরে প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ছাত্র রুপম ইসলাম স্বীকার করেন যে, রানা নামের একজনের (প্রাণীবিদ্যা, ঢাকা কলেজ) সাথে তার ৩০ হাজার টাকায় উত্তর পত্র সরবরাহের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর আধ ঘন্টা আগে ৫ হাজার টাকা অগ্রীম প্রদান করেছে সে।
পরে নম্বরটি ধরে ফোন করলে জানা যায় এস.এম.এস.সরবরাহকারী জবি ছাত্রলীগের কর্মী ইমরান হোসেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্স)। ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে কামরুল ও বিপ্লব (ইতিহাস বিভাগ) নামের আরও দুইজন এ ঘটনায় জড়িত বলে জানান।
ইমরান,বিপ্লব, কামরুল জবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক শ্রাবণ গ্রুপের কর্মী এবং বর্তমানে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা যায়।
অন্যদিকে এক ছাত্রীকে উত্তক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি সমর্থকদের মধ্যে ধাওযা পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে অসমর্থিত সুত্র জানায়,উত্তর সরবরাহের ঘটনায় ইমরানের জড়িত থাকার বিষয়টি  প্রমাণ হওয়ার কারণে ঘটনাটি অন্যরকম মোড় দেয়ার জন্য ওই গ্রুপটি পরিকল্পিত ভাবেই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির পায়তারা করে।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের ঘটনার সাথে জড়িতরা  ছাত্রলীগের কর্মী নন।
সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, উত্তর পত্র সরবরাহের ঘটনায় জড়িতরা ছাত্রলীগ নামধারী। তারা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তী নষ্ট করার জন্যই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবি প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন,উত্তর পত্র সহ ছাত্র আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জবিসহ ঢাকা কলেজের ছাত্রের নাম পাওয়া যায়। পরে ইমরান নামের একজনসহ ভর্তিচ্ছু রুপম ইসলামকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সিন্ডিকেট খুজে বের করার ”েষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিবির সন্দেহে আটক ১
এদিকে শিবির সন্দেহে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক সাবেক ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করে জবি প্রশাসন।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০১২

হাটি হাটি পা-পা করে সাত বছর পেরিয়ে অষ্টম বছরে পা রাখতে চলেছে রাজধানীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন প্রতিকুলতা পেরিয়ে সফলতার সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ২০ অক্টবর ২০১২ অষ্টম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে পালিত হতে যাচ্ছে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০১২’।

এ দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনব্যাপী আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকাল ৮.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্তকরণ ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেরব উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নারায়নগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ জনাব নজরুল ইসলাম বাবু। উদ্বোধন শেষে, সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ীসহ ব্যান্ডদলের বাজনার তালে তালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালী শহীদ মিনার হতে ক্যাম্পাস ঘুরে রায় সাহেব বাজার এবং ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র।

এছাড়া সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলেক্ষ আয়োজক কমিটি কর্তৃক দুই দিন আগ থেকে আলোক সজ্জ্বায় সাজান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, নতুন ভবন, শহীদ মিনার, অবকাশ ভবন সহ বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ভবন সমুহ।

১৯ অক্টোবর জবি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

আগামী ১৯ অক্টোবর (শুক্রবার) একযোগে একুশটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিকাল ৩:০০ থেকে ৪:৩০টা পর্যন্ত ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ‘বি’ ইউনিটে ৭২০টি  আসনের (মানবিক-৪৯০টি, বিজ্ঞান-১৫০টি, বাণিজ্য ও অন্যান্য-৮০টি) বিপরীতে ৪২,৭২৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

১২০০০০১ থেকে ১২০৭৫০০ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (সদরঘাট সংলগ্ন),
১২০৭৫০১ থেকে ১২০৮৮০০ পর্যন্ত পগোজ স্কুলে (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন),
১২০৮৮০১ থেকে ১২১০৮০০ পর্যন্ত সকরারী কবি নজরুল কলেজে (লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা),
১২১০৮০১ থেকে ১২১২৮২০ পর্যন্ত সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে (লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা),
১২১২৮২১ থেকে ১২১৩৮২০ পর্যন্ত ঢাকা গভর্নমেণ্ট মুসলিম হাই স্কুল (বাহাদুর শাহ পার্ক, ঢাকা),
১২১৩৮২১ থেকে ১২১৫৩২০ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে (লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা),
১২১৫৩২১ থেকে ১২১৬৭২০ পর্যন্ত ফজলুল হক মহিলা কলেজে (গেন্ডারিয়া, ঢাকা),
১২১৬৭২১ থেকে ১২১৮৭২০ পর্যন্ত শেখ বোরহানুদ্দিন কলেজে (চানখাঁরপুর, ঢাকা),
১২১৮৭২১ থেকে ১২১৯৯৭০ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজে (বুয়েট ক্যাম্পাস, ঢাকা),
১২১৯৯৭১ থেকে ১২২১৩৭০ পর্যন্ত উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা),
১২২১৩৭১ থেকে ১২২৭৩৭০ পর্যন্ত ইডেন কলেজে (আজিমপুর, ঢাকা),
১২২৭৩৭১ থেকে ১২২৮৮৭০ পর্যন্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে (আজিমপুর, ঢাকা),
১২২৮৮৭১ থেকে ১২৩০৩৭০ পর্যন্ত মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পূর্বে),
১২৩০৩৭১ থেকে ১২৩২৩৭০ পর্যন্ত মাতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে (মতিঝিল, ঢাকা),
১২৩২৩৭১ থেকে ১২৩৩৩৭০ পর্যন্ত ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে (সদরঘাট, ঢাকা),
১২৩৩৩৭১ থেকে ১২৩৫০৭০ পর্যন্ত আইডিয়াল কলেজে (সেন্ট্রাল রোড, ঢাকা),
১২৩৫০৭১ থেকে ১২৩৮০৭০ পর্যন্ত ঢাকা কলেজে (নিউমার্কেট, ঢাকা),
১২৩৮০৭১ থেকে ১২৩৯২৭০ পর্যন্ত আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে (আজিমপুর, ঢাকা),
১২৩৯২৭১ থেকে ১২৪০৪৭০ পর্যন্ত অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজে (ঢাকা),
১২৪০৪৭১ থেকে ১২৪১৮৭০ পর্যন্ত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে (ঢাকা) এবং
১২৪১৮৭১ থেকে ১২৪২৮০০ এবং ১২৪২৮০১ থেকে ১২৪২৮০৭ পর্যন্ত ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার দিনে এইচ.এস.সি./সমমান-এর মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও তার দুই কপি সত্যায়িত ফটোকপি এবং দুই কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবির পেছনে পরীক্ষার্থীর নাম, ঝগঝ-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত রোল নম্বর বাংলায় ও ইংরেজিতে লিখে উক্ত ছবি দুটির প্রত্যেকটি পৃথকভাবে ফটোকপিকৃত রেজিস্ট্রেশন কার্ডের বাম দিকে উপরে স্ট্যাপলার পিন দিয়ে সংযুক্ত করে অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপির উপরের অংশে উক্ত রোল নম্বর বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থী কর্তৃক আনিত এইচ.এস.সি./সমমান পরীক্ষার ফটোকপিকৃত (সত্যায়িত) দুইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ডের একটি শিক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র হিসেবে প্রদান করবে। অন্যটি পরীক্ষার হলে জমা রাখা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা সংরক্ষণ করবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত আসনবিন্যাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও Website-এ (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাচ্ছে।

বিয়ের শানাই বাজল সাইফ-কারিনার

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার বিয়ে করলেন বলিউডের বহুল আলোচিত তারকা-যুগল সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর।

এ প্রসঙ্গে বিয়ে নিবন্ধক সুরেখা রমেশের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ দুপুরের পর বান্দ্রায় অবস্থিত সাইফের ফরচুন হাইটস অ্যাপার্টমেন্টে তিন জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে সাইফ-কারিনার বিয়ের নিবন্ধন করা হয়েছে। সাক্ষী হিসেবে ছিলেন সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর, কারিনার বাবা রণধীর কাপুর ও মা ববিতা। গত ১২ সেপ্টেম্বর বিয়ে নিবন্ধনের আবেদন করেছিলেন তাঁরা। নিছক আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করার জন্য এক হাজার ভারতীয় রুপি ফি হিসেবে দিতে হয়েছে তাঁদের।

আজ সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের তাজমহল প্যালেস হোটেলে সাইফ ও কারিনার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। বিয়ে উপলক্ষে কাল বুধবার হরিয়ানায় পতৌদি প্রাসাদে আয়োজিত হবে বিশেষ ভোজ। ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে সাইফ-কারিনার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।

সাইফ-কারিনার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে ১৪ অক্টোবর রোববার। ওই দিন ভারতীয় বিয়ের রীতি অনুযায়ী মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় কনে কারিনা কাপুরের বাড়িতে সম্পন্ন হয় ‘সংগীত’ অনুষ্ঠান। সাইফ-কারিনার পরিবারের সদস্য ও কাছের কয়েকজন বন্ধু-সহকর্মীর উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান হয়। গতকাল সোমবার তাজমহল প্যালেস হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাইফ-কারিনার ‘মেহেদি’ অনুষ্ঠান।


প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে প্রতিবাদলিপি

অদ্য ১৬ অক্টোবর, ২০১২ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “উপাচার্যের গাড়ি বিলাস, অর্থকান্ড” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়ে এক প্রতিবাদলিপি তৈরি করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রথম আলো পত্রিকায় উক্ত প্রতিবেদনে জনৈক প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমের উপর উপাচার্য মহোদয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করার নামে এধরনের একটি গুরুত্বহীন, অসত্য ও নেতিবাচক সংবাদ পত্রিকার প্রথম পাতায় ফলাও করে প্রকাশ করে হলুদ সাংবাদিকতার বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম, আর্থিক বিষয় ও উপাচার্য মহোদয়ের গাড়ি ব্যবহার সম্পর্কে যে-সকল অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এধরনের সংবাদ প্রকাশ একটি কুচক্রী মহলের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা মাত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৫১ কোটি টাকার তহবিল ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রকাশিত খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে উল্লেখিত টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি ও সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে এফডিআর করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, বর্তমান উপাচার্য মহোদয় ২০০৯ সালের ফেব্র“য়ারীতে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগদানের পর সাবেক উপাচার্য মহোদয়ের গাড়িটি (প্রাইভেটকার) ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু গাড়িটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে প্রায়ই অকেজো থাকার কারণে উপাচার্য মহোদয়ের যাতায়াত সমস্যার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি ও সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে একটি পাজেরো জীপ ক্রয় করা হয়েছে। পরবর্তীতে ট্রেজারার মহোদয়ের যোগদানের পর শিক্ষকদের পরিবহন সমস্যার কারণে তাঁর ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি শিক্ষকদের ব্যবহারের জন্য দেয়া হয় এবং উন্নয়ন বাজেটে বাধ্যবাধকতার কারণে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ক্রয় করা হয়েছে।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “জনাব জাহিদ আলম উপাচার্যের একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ একটি মাইক্রোবাস সার্বক্ষণিক ভাবে ব্যবহার করা শুরু করেন।” কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর ন্যায় তিনিও প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করেন। তাছাড়া ঈদের ছুটির সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষেই তিনি মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করেছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, প্রথম বর্ষ (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে ব্যয় করা হয়। ভর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বন্ধের দিনসহ অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। এরূপ অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে সম্মানি প্রদান করা হয়ে থাকে। অব্যয়িত সমস্ত অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিলে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ‘দৈনিক প্রথমআলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও দাবী করে, দৈনিক প্রথম আলো’র মতো বহুল প্রচারিত একটি পত্রিকায় বিশেষ কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহলের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এধরনের ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন তথাকথিত হলুদ সাংবাদিকতাকেই প্রশ্রয় দেয়ার সামিল। পত্রিকায় প্রকাশিত এ ধরণের অসত্য, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখ চলার পথকে কেবল বাধাগ্রস্থই করছে না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামাজিক মান-মর্যাদাও ক্ষুন্ন করছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এধরণের অসত্য, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করছে।

প্রতিবাদলিপি এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্তের যথার্থতা যাচাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আজ  অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় উক্ত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সভার সদস্যরা।

এদিকে, প্রথম আলো পত্রিকায় “উপাচার্যের গাড়ি বিলাস, অর্থকান্ড” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির উপর ভিত্তি করে আজ বেলা ১১ টায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ‌ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোব মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।





জবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার  প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় থেকে ভাস্কর্যের সামনে থেকে  এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এই কর্মসূচীতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সংহতি প্রকাশ করে। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ  শেষে ভাস্কর্য চত্তরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, উপাচার্য ও পুরো জবি প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার টাকা বন্টনসহ বিভিন্ন খাতের অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতা পদর্শন করে আসছেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলামসহ জবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জবি শাখার সভাপতি শরীফুল চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক মাসুদ রানা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ আবির,  ছাত্র ফেডারেশনের সংগঠক তাহমিদা ইসলাম, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি আল-আমিন প্রমূখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা ইউজিসির কাছে ভিসির দুর্নীতির তদন্ত দাবী করেন।  সুষ্ঠ তদন্ত না হলে ঈদের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে বৃহত্তর আনন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা। একই সাথে ছাত্রীদের হল নির্মাণ করার দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও দাবি করেন, উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষা বাবদ আয় করা টাকা ব্যয়ে অনিয়ম করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকারের বরাদ্দ করা ১০০ কোটি টাকা ছাত্রসংশ্লিস্ট কাজে ব্যয়ের কোন নজির দেখাতে পারে নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রী হল নির্মানের আশ্বাস দিয়ে উপাচার্য বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। আমরা কার কাছে অধিকার আমাদের সংরক্ষনের দাবী জানাব?

122nd death anniversary of Lalon

Commemoration at the bard's den

A five-day programme has been chalked out on the occasion of the 122nd death anniversary of mystic bard Lalon at the Chheuria Lalon Akhra in Kushtia. The programme begins today.
Lalon Academy is holding the programme in association with the Ministry of Cultural Affairs. Kushtia district administration is supervising the event.
The programme includes a monthlong 'Lalon Mela', discussion and rendition of songs by artistes of Lalon Academy and bauls from across the country.
Mahbubul Alam Hanif, joint general secretary of Bangladesh Awami
League and also special assistant to the Prime Minister, will inaugurate the programme as chief guest.
Other guests at the programme include State Minister for Social
Welfare, Advocate Promod Mankin; State Minister for Housing and Public Works, Advocate Abdul Mannan; and director general of Bangladesh
Shilpakala Academy, Liaquat Ali Lucky.
Professor Abul Ahsan Choudhury; Professor Sarwar Murshed Ratan of Bangla Department, Islamic University and several others will be chief discussants. Banamali Bhoumik, Deputy Commissioner of Kushtia and also convener of Lalon Academy, will preside over the programme.
A Lalon mural will be unveiled at the event.
The DC of Kushtia said that this is the first time that bauls are being offered meals 10 days before the start of the programme and this will continue till Sunday. Free medical treatment for the bauls has also been arranged.
“We are hopeful that the programme will be held in a peaceful atmosphere,” said Banamali Bhoumik. Banglalink is the sponsor of the programme. Bauls from different areas have already assembled at the Akhra.

মনে হচ্ছে যুবরাজ পাঁচ দিনের জন্যও তৈরি

লেখক:
বিবার বিকেলে যুবরাজের সেঞ্চুরির খবরটা পেয়ে বেশ স্বস্তি পেলাম। যাক, ভারতীয় টেস্ট দলের ছ’নম্বর ব্যাটসম্যানের জায়গা নিয়ে সমস্যাটা মনে হয় মিটতে চলেছে।
হায়দরাবাদে ম্যাচের ফলের চেয়ে এখন যুবরাজের পারফরম্যান্স অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যুবির ব্যাটিং পরিষ্কার বুঝিয়ে দিল, এত দিন ওকে নিয়ে যে দুশ্চিন্তা করছিলাম, তা ঠিক নয়। টি-টোয়েন্টিতে ও ভাল খেললেও আমাদের চিন্তা ছিল টেস্টে আদৌ ভাল খেলতে পারবে কি না। আসলে সদ্য ক্যানসারকে হারিয়ে ওঠা একটা ছেলে সারা দিন মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে কি না, এটা নিয়েই অনেকের সন্দেহ ছিল। যুবি আজ সব জল্পনায় দাঁড়ি টেনে দিল।
শুনলাম, তিন ঘন্টারও বেশি ক্রিজে ছিল যুবি। এতক্ষণ মাঠে থাকতে পারাটাই ওর চ্যালেঞ্জ ছিল।
দলীপে যুবরাজ
তার উপর এ রকম আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ১৫২ বলে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংসে ২০টা বাউন্ডারি ও দু’টো ওভার বাউন্ডারি মেরেছে ও। স্ট্রাইক রেট ৮৭.৫০। এর পর আর ওর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে না। জাতীয় নির্বাচকরা বরং যুবরাজকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে রাখা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করুন। পাঁচ-ছয় নম্বরে ব্যাট করিয়ে সুরেশ রায়নাকে দিয়ে লাভ হয়নি। এই জায়গায় যুবরাজকে দিয়েই বেশি কাজ হতে পারে। ওর মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানকে সমীহ করে বিপক্ষ বোলাররা। যেটা দরকার। রায়না যেটা আদায় করতে পারছে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে আসুক পূজারা, চারে সচিন, পাঁচে কোহলি, ছয়ে যুবরাজ।
যুবি-টোটকা/২
ডা. সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় (ক্যানসার বিশেষজ্ঞ)
এই মুহূর্তে যুবরাজ সিংহের শারীরিক কন্ডিশন যে রকম আছে বলে মনে হচ্ছে, তাতে ও টেস্ট খেলার ধকল নিতে পারবে। ওর ক্যানসারটা যে ধরনের ছিল, তাতে একবার ঠিক হয়ে গেলে ফিটনেস ফিরে পাওয়াটা সমস্যা নয়। যুবরাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারত ক্যানসারজনিত কষ্ট এবং কেমোথেরাপি সংক্রান্ত শারীরিক-মানসিক যন্ত্রণা। এই সমস্যাগুলো তো যুবরাজ আগেই কাটিয়ে উঠেছে। এ বার রুটিন মেনে চললে ফিটনেস ধরে রাখতেই পারবে। সে দিক দিয়ে পাঁচ দিনের ধকল নেওয়াটা ওর কাছে সমস্যার হবে না।
লড়ছেন যাঁরা
শান্ত মিত্র (প্রাক্তন ফুটবলার)
নিঃসন্দেহে, যুবরাজ আমার অনুপ্রেরণা। যুবরাজের এই লড়াই দেখার পর থেকে রোজ ভাবি, কাল থেকে আমার সকালটাও বদলে যাবে। আবার আগের মতো ছুটে বেড়াতে পারব। যে কারণে ওয়াকার নিয়ে এসে নিজেকে ফিট করার চেষ্টা করছি। বাড়িতেই যোগব্যায়ামের বিশেষ ক্লাস করছি। যুবরাজের মনের জোর দেখে আমি উদ্দীপ্ত।
রেখা দাস (গৃহবধু)
যুবরাজকে দেখে আমি হার না মানতে শিখেছি। শিখেছি, ক্যানসার মানেই নো অ্যানসার নয়। ওকে দেখে বুঝেছি মন খারাপ করে কোনও লাভ নেই। নিজেই এখন সব কাজ করছি। এমনকী ১৩ ডিসেম্বর মেয়ের বিয়ে। বিয়ের যাবতীয় কাজ আমিই করছি। ভুলে গিয়েছি আমার কেমোথেরাপি চলছে।
নমিতা দত্ত (প্রধান শিক্ষিকা)
যুবরাজের এই লড়াইটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। মনে জোর ফিরে পাই। সব সময় ভাবি ও যদি পারে, তা হলে আমি পারব না কেন? স্কুলে পড়ানোর মধ্যে দিয়েই আমি আমার লড়াই চালাচ্ছি।
এটাই আদর্শ ব্যাটিং অর্ডার। বোলিংয়েও ধোনিকে সাহায্য করতে পারবে যুবরাজ। ভারতের ঘূর্ণি পিচে ওর স্পিন কাজে দেবে। তবে যুবি ভাল বোলিং করলে সেটা ধোনিদের কাছে বোনাস। ব্যাটিংটাই আসল।
একটা ব্যাপারে শুধু খটকা আছে। যুবরাজের ‘রিকভারি পিরিয়ড’। মানে, একটা বড় ইনিংস খেলে বা একটা গোটা দিন মাঠে থেকে পরের দিনের জন্য ও নিজেকে ফের কতটা তৈরি করে নিতে পারছে। তবে যুবরাজ নিজেই এটা সবচেয়ে ভাল বুঝবে। সোমবার যখন ফের ব্যাট করতে নামবে, বা গায়ে-গায়েই ফাইনাল খেলবে, তখন আমরাও কিছুটা ধারণা পাব। তবে সব হার্ডলই যখন ও অনায়াসে পেরিয়ে আসতে পারল, তখন এটাই বা পারবে না কেন?

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিষ্টারের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮১০টি আসনের বিপরীতে ১৩,১৫৩ জন (বিজ্ঞান শাখা ১২,৯৬৬ জন এবং অন্যান্য ১৮৭ জন) পরীক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, ৪২,২৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪০,০৮৮ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। উক্ত ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও Website -এ (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে।

এছাড়াও, যে কোন মোবাইল থেকে ম্যাসেজের  মাধ্যমে এই ফলাফল জানা যাবে। এজন্য যে কোন মোবাইল থেকে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে JNU লিখে একটি Space দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে আবার একটি স্পেস দিয়ে ইউনিটের নাম (যেমন:A) লিখে ১৬২৪২ নম্বরে ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিলে ফিরতি ম্যাসেজে ফলাফল জানা যাবে। JNU <space> Roll Number <space> Unit A লিখে ১৬২৪২ নম্বরে সেন্ড করলে ফিরতি ম্যাসেজে ফলাফল জানা যাবে। মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচী পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও পত্রিকার মাধ্যমে জানানো হবে।

জবি আবৃত্তি সংসদের নতুন কমিটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ এর ২০১২-১৩ কমিটির সভাপতি পদে নাসির আহমেদ খান (গণিত) ও সাধারণ সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান লিখন (সমাজবিজ্ঞান) কে মনোনীত করা হয়েছে । এতে ২৫ টি পদের মধ্যে ৮টি পদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ১৭ টি পদের জন্য আগামী এক মাসের মধ্যে সংগঠনের ১০০ সদস্য পূর্ণ করে বাছাইকৃতদেরকে নব-নির্বাচিত কমিটি মনোনীত করবে । 

অন্য পদের সম্পাদকরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক- সাইফুল ইসলাম অভি (বাংলা ), অফিস সম্পাদক- উদ্দীপন মন্ডল ( সমাজকর্ম), উৎসব সম্পাদক- এনামুল কবির মিথুন (ইতিহাস), অর্থ-পর্যবেক্ষক সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান (ব্যবস্থাপনা), অর্থ-সম্পাদক-আরিফ উজ্জামান বাপ্পি (পরিসংখ্যান), কর্মশালা সম্পাদক- আলমগীর কবির (দর্শন) ।  

উল্লেখ্য এই কমিটির মেয়াদ আগামী ২০১৩ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

Seminar on significant difference between Dichotomous thinking and education level of the students Held at JnU Psychology Department

A scientific seminar was held on Dichotomous Thinking and Self-Esteem in the Sigmund Freud Conference Hall at the Department of Psychology, Jagnnath University. The seminar was organized by the Advanced Teaching-Learning in Psychology (ATLP)- a Sub-Project of Higher Education Quality Enhancement (HEQEP). 

The keynote paper of the seminar was presented by the Muhammad Akram Uzzaman, Assistant Professor of the Department of Psychology, Jagannath University. He was emphasis on the finding of his research that there is a significant difference between Dichotomous thinking and education level of the students. The findings of his research are very interesting and generate further research interest in this area. The seminar was presided by Dr. Asoke Kumar Saha who is a Proctor of Jagannath University and Sub-Project Manager of HEQEP. Dr. Noor Muhammad, Assistant Proctor and Assistant Professor of Psychology of the Jagannath University was given the welcome address of the seminar.

Among others faculty members of the department of psychology Prof. Dr. Kazi Saifuddin,  Md. Shahinuzzaman, Md. Sydur Rahaman, Farzana Ahmed (1), Samsab Afrin Himi, Kishore Kumar Roy and teachers from different department of Jagannath University were attended the seminar. A large number of students of undergraduate and graduate students of psychology also present the seminar.    

Oct 2012 জবি’র মনোবিজ্ঞান বিভাগে ‘দ্বৈত্ব ভাবনার সঙ্গে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্ম্পক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে  ‘দ্বৈত্ব ভাবনার সঙ্গে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্ম্পক’ বিষয়ক (১১.১০.১২) সকাল ১০.৩০ টায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারটির আয়োজক অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে বাস্তবায়নাধীন উচ্চশিক্ষার মানন্নোয়ন প্রকল্প (হেকেপ) এর একটি সাব-প্রজেক্ট। 

 অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগনের উপস্থিতিতে  অত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব আকরাম উজ্জামান তার গবেষনায় দ্বৈত্ব ভাবনার সাথে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার স্তরের সম্পর্কের বিষয়টি বিশদাকারে উপস্থাপন  করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব ড. অশোক কুমার সাহা, সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সহকারী প্রক্টর জনাব ড. নূর মোহাম্মাদ। উক্ত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী সাইফুদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান, ফারজনা আহমেদ(১) ও প্রভাষক জনাব কিশোর কুমার রায় ও সামসাব আরফিন হিমি এবং বিশ্বদ্যিালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকগন।

জবিতে ‘এ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ” ইউনিটের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটককৃত ভর্তিচ্ছু মোকাদ্দেস হোসেন, (ভর্তি পরীক্ষার রোল ১১১৮৭২২) বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করলেও কোন ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে  জবি প্রক্টর।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত জবিসহ রাজধানীর ২০ টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, সাড়ে তিনটায় পরীক্ষা শুরুর পর পরই নতুন ভবনের তৃতীয় তলার ৩১৫ নম্বর  কক্ষে মো. মোকাদ্দেস হোসেন, রোল ১১১৮৭২২ কে  চার্য করলে মোবাইলে এসএমএস পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পত্র পান ওই কক্ষের পরিদর্শক। খবর শুনে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থল গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মোস্তাফিজুর রহমান (হিসাবজ্ঞিান বিভাগ) প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এ ঘটনার সাথে বড়সিন্ডিকেট জড়িত এমন সন্দেহে মোস্তাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে এক পর্যায়ে প্রক্টরকে ধাক্কা দিয়ে মোস্থাফিজ দৌড়ে পালানোর চ্ষ্টো করে। পরে সহকারী প্রক্টর নূর মোহাম্মদ মোস্তাফিজকে পাকড়াও করে দুইজনকে প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ  করেন ও পরে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জৈষ্ঠ নেতাদো প্রায় দেড়ঘন্টার   বৈঠকের পর  মোস্থাফিজকে ছেড়ে দেয়া হয়। আবার জালিয়াতির সিন্ডিকেটের রোশানলে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কায় ওই হলের পরিদর্শকদের নামও প্রকাশ করা হয় নি।

এ সময় অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কোন তথ্য ধরণের তথ্য দেয় নি জবি প্রশাসনের কেউ। বৈঠক শেষে  বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অশোক কুমার সাহা কোন ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে এডুকেশন২৪কে বলেন, মোস্থাফিজ শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল। এসময় এক সহকারী প্রক্টর আহত হন। তাই তাকে ধরে মুসলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে ধৃত ভর্তিচ্ছু ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
তবে প্রক্টরের সামনে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ভর্তিচ্ছু মোসাদ্দেক হোসেন সংবাদকর্মীদের সাথে স্বীকার করে বলেন, মোবাইলে উত্তর পত্র দেখার সময় আমাকে আটক করা হয়। আজকে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে আসলে ওই বড়ভাই আমাকে এসএমএস এ উত্তর পাঠানের কথা বললে রাজি হ্ই। ওই উত্তরপত্র দেখে পাশ করলে পরে  টাকা দেব এমনটি বলেছিলাম।,এ ঘটনায় তার একার দোষ নেই বলে দাবি করেন তিনি। তার বাড়ী জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলালে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কামরুল আলম এডুকেশন২৪কে বলেন,হাতে নাতে নকলের অভিযোগে মোকাদ্দেসকে ধরেছে সংশ্লিষ্ট কক্ষের পরিদর্শক। তবে তিনি ওই কক্ষের পরিদর্শকদের নাম এড়িয়ে যান তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম এডুকেশন২৪কে বলেন, মোবাইলে এসএমএস প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে এমন অভিযোগে দুইজনকে আটকের খবর শুনে আমি ক্যাম্পাসে যাই। তবে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়,সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা স্বীকার করার পরেও ধৃত জালিয়াতিকারী মোকাদ্দেসকে পুলিশে দিলে মূল কারণ প্রকাশ পেলে ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হবে তাই তাকে পুলশে দেয়া থেকে বিরত থাকেন জবি প্রক্টর।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে শিবিরের মহিলাকর্মী সন্দেহে দুই ছাত্রীসহ তিন জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জবি প্রশাসন।

নতুন গ্রহে পৃথিবীর প্রায় তিনগুণ ওজনের হীরা!!

পৃথিবীতে কী পরিমাণ আছে মহামূল্যবান হীরা? সন্ধানে নামলে খুঁজতে খুঁজতেই হাঁপ ধরে যাবে। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি যা করছেন, তা রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার মতো। তাঁরা মহাকাশে এমন এক নতুন গ্রহের সন্ধান পাওয়ার দাবি করছেন, যেখানে হীরা আছে পৃথিবীর ওজনের প্রায় তিনগুণ। গ্রহটি আয়তনে পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ।

যুক্তরাষ্ট্রফ্রান্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের যৌথ অনুসন্ধানেগ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস সাময়িকীর সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত নিবন্ধে জানা যায়। এতে গ্রহটির নাম উল্লেখ করা হয় ‘৫৫ কেনক্রি-ই’। গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্সে প্রকাশিত খবরেতথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নিকু মধুসূদনফ্রান্সের তুলুজ শহরের ‘ইনস্টিটিউট দি রিসার্চ এন অ্যাস্ট্রোফিজিক এট প্ল্যানেটোলজি’র গবেষক অলিভিয়ের মসি যৌথভাবে গ্রহটি আবিষ্কার করেন।

গবেষকদের মতে, ৫৫ কেনক্রি-ই নামের পাথুরে ওই গ্রহের একটি বড় অংশ হীরা দিয়ে তৈরি। কনস্টেলেশন অব ক্যানসার বলে পরিচিত নক্ষত্রপুঞ্জে সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে গ্রহটি আবর্তিত হচ্ছে। এটি এত দ্রুত আবর্তিত হয় যে সেখানে মাত্র ১৮ ঘণ্টায় এক বছর পূর্ণ হয়।

নিকু মধুসূদনের দাবি, পানিপাথুরে শিলার পরিবর্তে ৫৫ কেনক্রি-ইর ভূ-পৃষ্ঠ পুরোটাই কার্বন আর হীরক খণ্ড দিয়ে ঢাকা। ফ্রান্সের গবেষক অলিভিয়ের মসির তথ্যমতে, গ্রহটির মোট ওজনের এক-তৃতীয়াংশই হীরার তৈরি, যা তিনটি পৃথিবীর ওজনের সমান।

গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর দ্বিগুণ। মোট ওজন পৃথিবীর প্রায় আটগুণ। এর ঘনত্ব অনেকটা পৃথিবীর সমান। গ্রহটিতে অবিশ্বাস্য রকমের উষ্ণতা রয়েছে। এর ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এক হাজার ৬৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (তিন হাজার ৯০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।

বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, এমন হীরার গ্রহের সন্ধান এর আগেও পাওয়া যায়। তবে এই প্রথম হীরার তৈরি একটি গ্রহের সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে আবর্তন করতে দেখা গেল। আরবিষয়ে এমন বিশদ তথ্য পাওয়া গেল। সৌজন্যে-প্রথম আলো।

আইসিসি ক্রিকেট কমিটির নতুন সভাপতি অনিল কুম্বলে

অনিল কুম্বলে
আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সভাপতি হিসেবে সর্ব সম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তী লেগস্পিনার অনিল কুম্বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রবাদ প্রতিম অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।

৪১ বছর বয়সী ভারতের সাবেক অধিনায়ক কুম্বলে ৬১৯টি টেস্ট ও ৩৩৭টি ওয়ানডে উইকেটের অধিকারী।

সাবেক খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হিসেবে মার্ক টেলরের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। সাবেক খেলোয়াড়দের আরেক প্রতিনিধি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ইয়ান বিশপ তার মেয়াদ আর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় ইংল্যান্ডের সদ্য সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

এক বিবৃতিতে আইসিসি সভাপতি অ্যালান আইজাক বলেন, “আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সভাপতি হিসেবে ক্লাইভ লয়েডের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।”

“নতুন চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলের অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত। কেবল সাবেক খেলোয়াড়ই নয় ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবেও তিনি সফল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি ক্লাইভের ভালো কাজগুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন,” যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ একাউন্টিং এসোসিয়েশনের (বিএএ) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা

বাংলাদেশে একাউন্টিং শিক্ষার প্রসার, উন্নয়ণ, গবেষণা এবং সরকারী বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখবার প্রত্যয় নিয়ে গত ১০-১০-২০১২ইং তারিখ রোজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস এর চেয়ারম্যান ও আই.সি.এম.এ.বি. এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ঋঈগঅ কে আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিপার্টমেন্ট অব একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাঃ আলী নূর কে সদস্য সচিব মনোনীত করে বাংলাদেশ একাউন্টিং এসোসিয়েশন এর ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়।  
উল্লিখিত আহ্বায়ক কমিটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়,সরকারী কলেজ, বেসরকারী কলেজ শিক্ষক, আই.সি. এম. এ.বি., আই. সি. এ. বি., আই. সি. এস. বি.সহ সরকারী, বেসরকারী, চাকুরীজীবি ও উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধির সমম্বয়ে গঠিত হয়েছে।

‘এ’ ইউনিট ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষের প্রথম বর্ষ সম্মান ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিট ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিন্দন  জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌছতে পারেনা। শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের যে সফলতা তা জাতিকে একটি শিক্ষিত সমাজ উপহার দেয়ার একটি মাধ্যম। মেধাবী ছাত্রসমাজ পারে মেধাবী জাতি গড়তে। সেই ব্রত নিয়েই নতুন শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত “ভিশন-২০২১” এবং “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ে তুলবে ।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ভর্তিচ্ছু নতুন শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে দেশরতœ শেখ হাসিনার ভাবাদর্শে সন্ত্রাস ও দূর্নীতিমুক্ত “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্যে সকল মেধাবীদের ছাত্রলীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

এডেলের গিনেজ ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ড


কণ্ঠশিল্পী এডেল তার ‘২১’ অ্যালবামের জন্য একের পর এক পুরস্কার জিতছেন, আরও জিতছেন খেতাব। এই একটি অ্যালবাম দিয়েই এবার তিনি ৬টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। আর একসঙ্গে ৬টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়ে গিনেজ ওয়ার্ল্ড বুকেও রেকর্ড করেন তিনি। বছরের সেরা অ্যালবাম বিক্রির তালিকায়ও নাম এসেছে এডেলের। পাশাপাশি শীর্ষে ছিলেন টপ চার্টেও। টানা ৯ মাস টপ চার্টে ৫-এর মধ্যে এবং ৬ মাস টপ চার্টের একেবারে শীর্ষে অবস্থানেও রেকর্ড করেছেন তিনি। এবার এই একই অ্যালবামের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘রোলিং ইন দ্য ডিপ’ দিয়ে তিনি আরও একটি রেকর্ড করলেন এবং হলেন বছরের সেরা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের যতগুলো রেডিও চ্যানেল রয়েছে তার সবক’টিতেই সর্বাধিক গান প্রচার হয় এডেলের। তারা জানান, ২০১১ সালের সর্বাধিক প্রচারিত গান এটি। গত বছরের শেষ ছয় মাসে গানটি প্রচার হয় ১.৩৫ মিলিয়ন বার এবং আজ পর্যন্ত গানটি প্রচার হয় ২ মিলিয়ন বারেরও অধিক। আর সর্বাধিক প্রচার হওয়ায় এ বছরের সেরা ও সর্বাধিক রয়্যালিটিটিও যাচ্ছে তারই ঘরে। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে ‘ইটস মাই লাইফ’ গানটি এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক প্রচারিত গান। যা প্রচার হয় ৩ মিলিয়ন বার।

Human brain's vision map

The modern map of the representation of vision in the brain is compared to the 1918 original.
Nearly 100 years after a British neurologist first mapped the blind spots caused by missile wounds to the brains of soldiers, Perelman School of Medicine researchers at the University of Pennsylvania have perfected his map using modern-day technology. Their results create a map of vision in the brain based upon an individual's brain structure, even for people who cannot see. Their result can, among other things, guide efforts to restore vision using a neural prosthesis that stimulates the surface of the brain.
The study appears in the latest issue of Current Biology, a Cell Press journal.
Scientists frequently use a brain imaging technique called functional MRI (fMRI) to measure the seemingly unique activation map of vision on an individual's brain. This fMRI test requires staring at a flashing screen for many minutes while brain activity is measured, which is an impossibility for people blinded by eye disease. The Penn team has solved this problem by finding a common mathematical description across people of the relationship between visual function and brain anatomy.
"By measuring brain anatomy and applying an algorithm, we can now accurately predict how the visual world for an individual should be arranged on the surface of the brain," said senior author Geoffrey Aguirre, MD, PhD, assistant professor of Neurology. "We are already using this advance to study how vision loss changes the organization of the brain."
The researchers combined traditional fMRI measures of brain activity from 25 people with normal vision. They then identified a precise statistical relationship between the structure of the folds of the brain and the representation of the visual world.
"At first, it seems like the visual area of the brain has a different shape and size in every person," said co-lead author Noah Benson, PhD, post-doctoral researcher in Psychology and Neurology. "Building upon prior studies of regularities in brain anatomy, we found that these individual differences go away when examined with our mathematical template."
A World War I neurologist, Gordon Holmes, is generally credited with creating the first schematic of this relationship. "He produced a remarkably accurate map in 1918 with only the crudest of techniques," said co-lead author Omar Butt, MD/PhD candidate in the Perelman School of Medicine at Penn. "We have now locked down the details, but it's taken 100 years and a lot of technology to get it right."
The research was funded by grants from the Pennsylvania State CURE fund and the National Institutes of Health.

কেমোথেরাপির পরেও স্তন ক্যানসার ফিরে আসার উত্তর মিলল

Normal breast with non–invasive ductal carcinoma in situ (DCIS) in an enlarged cross–section of the duct.
কেন কেমোথেরাপির পরেও বহু ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার ফিরে আসে? কেন স্তন ক্যানসারের বহু রোগী সেরে ওঠার বছর কয়েকের মধ্যে ফের আক্রান্ত হন? এই প্রশ্নের উত্তর এবং তা প্রতিরোধের পথ খুঁজে পেয়েছে কলকাতার একদল গবেষক।
আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল অঙ্কোলজির জার্নালে এবং স্তন ক্যানসার-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক গবেষণা পত্রিকা ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট ক্যানসার-এ তাদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্নটির উত্তরের ইঙ্গিত ছিল ২০০৮ সালে মার্কিন বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায়। স্তন ক্যানসার ফিরে আসার পেছনে তাঁরা দেখেন বিশেষ ধরনের স্টেম সেলের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
এবার কলকাতার একদল চিকিৎসক সেই সমাধান দিল। ব্রেস্ট ইন্টার গ্রুপ অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (বিইজিইই) ওই সদস্যদের গবেষণায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশের মধ্যেই বিশেষ স্টেম সেলটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
গবেষক দলের সদস্য আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সাধারণত যে অঙ্গের ক্যানসারে যে ধরনের কেমো ব্যবহারের চল নেই, আমরা সেটাই প্রয়োগ করি। যেমন: স্তন ক্যানসারে প্লাটিনাম গ্রুপের কেমো দেওয়া হয় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে সেটাই কাজ করছে! বাকি ক্ষেত্রে কেমোর বদলে ব্যবহার করা হয়েছে ক্যানসারের জিন প্রতিহত করার ওষুধ। তাতেও আশানুরূপ ফল এসেছে।’
ক্যানসারের চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আধা ঘুমন্ত কিছু ক্যানসার কোষ, যারা কেমোথেরাপিতেও মরে না, উপযুক্ত পরিবেশ তাদের আবার জাগিয়ে তুলতে পারে। আবার মাথা চাড়া দিতে পারে মারণ রোগ। তাই এমন কেমো প্রয়োজন, যা ওই কোষগুলোকেও মারবে।
উপযুক্ত পরিবেশ বলতে কী বোঝায়?
সুবীরের ব্যাখ্যা, এটি জিনগত বা হরমোন-সংক্রান্ত কারণ থাকতে পারে। দায়ী হতে পারে খাদ্যাভ্যাসও। স্তন ক্যানসার ‘ফিরে আসার’ নেপথ্যে যারা, সেই স্টেম সেলগুলো চিহ্নিত করা যাবে কীভাবে? আশিস বলেন, ফ্লোসাইটোমেট্রি নামের যন্ত্রে স্তনের টিস্যু পরীক্ষা করে তা সম্ভব। কিন্তু কোনো নারীর স্তন অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়ার পরে ওই কোষের অস্তিত্ব বোঝা যাবে? তাঁর জবাব, তখন স্তনের টিস্যু পাওয়া না গেলেও বোন ম্যারো পরীক্ষায় তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যাবে।
আপাতত খুব কম জায়গায় এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। ডা. আশিস বলেন, প্রথমে রুটিন কেমোথেরাপি দিয়ে রোগ আটকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। তার দুই-তিন সপ্তাহ বাদে বিকল্প ব্যবস্থা হবে। বিকল্প ওষুধটা ঠিক হবে স্টেম সেল পরীক্ষার পরে। তাতে সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগতে পারে।

Let your home blossom this Eid

l
eaning and preparing the house for Eid day can be a frantic and frenzied task, especially if you are a busy mum with loads to do both at home and beyond. As the hectic days of Ramadan pass by in a mad rush, one is seldom left with time to think about ways of making their homes look appealing during Eid day. For such individuals, shortcuts to home décor for Eid are the way to go.
One such element that can readily transform your home from a dull and drab dwelling to a colourful and lively abode is flowers. Flowers are one of the most natural ways to embellish your home, and has the added advantage of going easy on your workload as well. All you have to do is visit a flower shop nearby that offers a wide range of flowers and select the ones you like to create a perfect combination for some bouquets.
You can also string flowers into garlands and roll them around in staircase handles or on walls to spread their fragrance and enhance the festive mood. Use of colour can also drum up the jollity, so use red, yellow, pink and golden as the colour theme for this occasion.
We now get to find many flower shops in the city that offer a wide range of flowers to choose from, both local and imported. One such flower shop is Pushpo Bitan, situated in Shimanto Square Shopping Mall in Dhanmondi. The shop specialises in imported flowers, ones that you rarely get to see in other shops. They have their own bouquet designer who has his own catalogue of designs from where you can select the desired one. He will also help you create your own customised flower bouquet by taking your suggestions. The flowers in their display this Eid includes Carnation, Rose, Lilly, Chrysanthemum, Emilia, Orchid and many more. Also, if you want to add a unique touch to your home this Eid, you can grab one of their miniature bonsai trees or cactus plants. The price for the bouquets ranges from Tk.500 to 6000, depending on the type and quantity of flowers. You can decorate your bouquet with the various accessories they offer, like nets, ribbons, cellophane, etc.
Flowers can be very easy to work with and even easier to get hands on at a reasonable price. It adds dollops of splendour to your dwelling and makes it smell good. So, give your home a touch of festivity with flowers this occasion and bring out the designer in you.

সমস্ত জটিলতা ভেঙে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড

সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড
সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড
কোয়ান্টাম অপটিকস গবেষণায় অবদানের জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফ্রান্সের সার্জ হ্যারোশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড। আজ মঙ্গলবার নোবেল কমিটি এ পুরস্কারের জন্য তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। খবর রয়টার্সের।
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের পুরস্কারের অর্থমূল্য ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১২ লাখ মার্কিন ডলার) ভাগ করে দেওয়া হবে হ্যারোশ ও ওয়াইনল্যান্ডকে।
সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড আয়ন ও ফোটন নিয়ে গবেষণার জন্য এবারে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন, যা যোগাযোগ ও কম্পিউটিংয়ের উন্নতিতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
নোবেল পাওয়ার বিষয়টি জানার পর প্রতিক্রিয়ায় সার্জ হ্যারোশ বলেছেন, ‘আমি খুব সৌভাগ্যবান যে তালিকায় আমার নাম ছিল। নোবেল পাওয়ার খবর শুনে আমি যে বেঞ্চের পাশে ছিলাম, সেখানেই বসে পড়ি। আমার কাছে আনন্দের উপলক্ষ হয়ে এসেছে এ খবর।’
সফল ও অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯০১ সালে প্রবর্তিত হয় এ মহার্ঘ পুরস্কার। মোট ছয়টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়—পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিত্সাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি। এক্স-রে আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিদ্যায় প্রথম নোবেল পুরস্কার পান উইলহেলম রঞ্জেন। এ বছর যৌথভাবে সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড পদার্থবিদ্যায় নোবেল পাওয়ায় এ বিষয়ে নোবেল বিজয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালের নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
স্টেম সেল নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর চিকিত্সায় নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের গবেষক স্যার জন গর্ডন ও জাপানের শিনইয়া ইয়ামানাকা। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কর্তৃপক্ষ।
কাল বুধবার রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি। বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে ও ১৫ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

তিন দিনব্যাপী ‘বেসিক ওয়েব মেইনটেনেন্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপ্তি অনুষ্ঠিত


০৯ অক্টোবর মঙ্গলবার, দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যৌথ উদ্যোগে হেকেপ (HEQEP) প্রজেক্টের সাব-প্রজেক্ট আর.টি.আর.আর.সি. (Information Technology Research and Resource Center) আওতায়রি-ইঞ্জিনিয়ারিং অব দি আই.টি.আর.আর.সি” (হেকেপ): সি.পি ২৯৫ [Reengineering of the ITRRC” (HEQEP: CP 295)]-এর অর্থায়নে তিন দিনব্যাপীবেসিক ওয়েব মেইনটেনেন্সশীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক . মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষা অবশ্যই যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষ করে নিজ নিজ বিভাগ দপ্তরে ওয়েজ পেইজ উন্নয়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অত্যন্ত সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অত্যন্ত সহায়ক হবে। চাকুরী না খুঁজে, চাকুরী দেবার জন্য কাজ করতে হবে। তরুণদের স্বনির্ভর হতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “টেকনোলজি পরিবর্তনশীল। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তরুণ প্রজন্ম পৃথিবীকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে।

সভাপতির বক্তব্যে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক . মোঃ কামরুল আলম খান বলেন, “গঠনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মানসম্মত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য। হেকেপ প্রজেক্টের আই.টি.আর.আর.সি সাব-প্রজেক্টের ম্যানেজার এবং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ আবু লায়েক প্রজেক্টটির অগ্রগতি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক জনাব মেহনাজ তাবাস্সুম। উল্লেখ্য, প্রত্যেক বিভাগের জন করে শিক্ষক এবং কয়েকজন কর্মকর্তাসহ মোট ৩৩ জন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের হতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, কর্মকর্তা, ছাত্রনেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।