জবিতে ‘এ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ” ইউনিটের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটককৃত ভর্তিচ্ছু মোকাদ্দেস হোসেন, (ভর্তি পরীক্ষার রোল ১১১৮৭২২) বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করলেও কোন ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে  জবি প্রক্টর।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত জবিসহ রাজধানীর ২০ টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, সাড়ে তিনটায় পরীক্ষা শুরুর পর পরই নতুন ভবনের তৃতীয় তলার ৩১৫ নম্বর  কক্ষে মো. মোকাদ্দেস হোসেন, রোল ১১১৮৭২২ কে  চার্য করলে মোবাইলে এসএমএস পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পত্র পান ওই কক্ষের পরিদর্শক। খবর শুনে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থল গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মোস্তাফিজুর রহমান (হিসাবজ্ঞিান বিভাগ) প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এ ঘটনার সাথে বড়সিন্ডিকেট জড়িত এমন সন্দেহে মোস্তাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে এক পর্যায়ে প্রক্টরকে ধাক্কা দিয়ে মোস্থাফিজ দৌড়ে পালানোর চ্ষ্টো করে। পরে সহকারী প্রক্টর নূর মোহাম্মদ মোস্তাফিজকে পাকড়াও করে দুইজনকে প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ  করেন ও পরে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জৈষ্ঠ নেতাদো প্রায় দেড়ঘন্টার   বৈঠকের পর  মোস্থাফিজকে ছেড়ে দেয়া হয়। আবার জালিয়াতির সিন্ডিকেটের রোশানলে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কায় ওই হলের পরিদর্শকদের নামও প্রকাশ করা হয় নি।

এ সময় অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কোন তথ্য ধরণের তথ্য দেয় নি জবি প্রশাসনের কেউ। বৈঠক শেষে  বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অশোক কুমার সাহা কোন ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে এডুকেশন২৪কে বলেন, মোস্থাফিজ শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল। এসময় এক সহকারী প্রক্টর আহত হন। তাই তাকে ধরে মুসলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে ধৃত ভর্তিচ্ছু ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
তবে প্রক্টরের সামনে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ভর্তিচ্ছু মোসাদ্দেক হোসেন সংবাদকর্মীদের সাথে স্বীকার করে বলেন, মোবাইলে উত্তর পত্র দেখার সময় আমাকে আটক করা হয়। আজকে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে আসলে ওই বড়ভাই আমাকে এসএমএস এ উত্তর পাঠানের কথা বললে রাজি হ্ই। ওই উত্তরপত্র দেখে পাশ করলে পরে  টাকা দেব এমনটি বলেছিলাম।,এ ঘটনায় তার একার দোষ নেই বলে দাবি করেন তিনি। তার বাড়ী জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলালে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কামরুল আলম এডুকেশন২৪কে বলেন,হাতে নাতে নকলের অভিযোগে মোকাদ্দেসকে ধরেছে সংশ্লিষ্ট কক্ষের পরিদর্শক। তবে তিনি ওই কক্ষের পরিদর্শকদের নাম এড়িয়ে যান তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম এডুকেশন২৪কে বলেন, মোবাইলে এসএমএস প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে এমন অভিযোগে দুইজনকে আটকের খবর শুনে আমি ক্যাম্পাসে যাই। তবে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়,সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা স্বীকার করার পরেও ধৃত জালিয়াতিকারী মোকাদ্দেসকে পুলিশে দিলে মূল কারণ প্রকাশ পেলে ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হবে তাই তাকে পুলশে দেয়া থেকে বিরত থাকেন জবি প্রক্টর।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে শিবিরের মহিলাকর্মী সন্দেহে দুই ছাত্রীসহ তিন জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জবি প্রশাসন।

No comments:

Post a Comment