সমস্ত জটিলতা ভেঙে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড

সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড
সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড
কোয়ান্টাম অপটিকস গবেষণায় অবদানের জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফ্রান্সের সার্জ হ্যারোশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড। আজ মঙ্গলবার নোবেল কমিটি এ পুরস্কারের জন্য তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। খবর রয়টার্সের।
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের পুরস্কারের অর্থমূল্য ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১২ লাখ মার্কিন ডলার) ভাগ করে দেওয়া হবে হ্যারোশ ও ওয়াইনল্যান্ডকে।
সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড আয়ন ও ফোটন নিয়ে গবেষণার জন্য এবারে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন, যা যোগাযোগ ও কম্পিউটিংয়ের উন্নতিতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
নোবেল পাওয়ার বিষয়টি জানার পর প্রতিক্রিয়ায় সার্জ হ্যারোশ বলেছেন, ‘আমি খুব সৌভাগ্যবান যে তালিকায় আমার নাম ছিল। নোবেল পাওয়ার খবর শুনে আমি যে বেঞ্চের পাশে ছিলাম, সেখানেই বসে পড়ি। আমার কাছে আনন্দের উপলক্ষ হয়ে এসেছে এ খবর।’
সফল ও অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯০১ সালে প্রবর্তিত হয় এ মহার্ঘ পুরস্কার। মোট ছয়টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়—পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিত্সাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি। এক্স-রে আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিদ্যায় প্রথম নোবেল পুরস্কার পান উইলহেলম রঞ্জেন। এ বছর যৌথভাবে সার্জ হ্যারোশ ও ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড পদার্থবিদ্যায় নোবেল পাওয়ায় এ বিষয়ে নোবেল বিজয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালের নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
স্টেম সেল নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর চিকিত্সায় নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের গবেষক স্যার জন গর্ডন ও জাপানের শিনইয়া ইয়ামানাকা। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কর্তৃপক্ষ।
কাল বুধবার রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি। বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে ও ১৫ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

1 comment: