ম্যাচ পাতানোর দায়ে এবার আম্পায়ার

২০১০ সালে তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে। এবার জানা গেল, শুধু খেলোয়াড়েরাই নন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন খেলা পরিচালনাকারী আম্পায়াররাও। সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য রাজি ছিলেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ছয়জন আম্পায়ার।
ইন্ডিয়া টিভির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এমনটি দাবি করা হয়েছে। ওই টিভির একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে জানা গেছে আম্পায়ারদের এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার খবর।
সম্প্রতি ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্নীতির খবর ফাঁস করে আলোচনায় এসেছিল ইন্ডিয়া টিভি। এবার তাদের পরিচালিত আরেকটি অভিযানের মাধ্যমে জানা গেছে, সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে টাকার বিনিময়ে ম্যাচ পাতাতে রাজি হয়েছিলেন ছয়জন আম্পায়ার। তাঁরা হলেন: পাকিস্তানের নাদিম ঘাউরি ও আনিস সিদ্দিকী, বাংলাদেশের নাদির শাহ, শ্রীলঙ্কার গামিনি দিশানায়েকে, মাউরিস উইন্সটন ও সাগারা গালেজ।
৪০টি একদিনের ম্যাচ পরিচালনা করা নাদির শাহ টাকার বিনিময়ে যেকোনো আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া পর্যায়ের ম্যাচ পাতাতে রাজি হয়েছেন ইন্ডিয়া টিভির ক্যামেরার সামনে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলার সময় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ ম্যাচ পাতিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন শাহ।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার সাগারা গালেজ টাকার বিনিময়ে পিচের অবস্থা, আবহাওয়া পরিস্থিতি, টস ইত্যাদি তথ্য ফাঁস করে দিতে রাজি হয়েছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচটিও তিনি পাতাতে রাজি হয়েছিলেন ৫০ হাজার রুপির বিনিময়ে। সেই ম্যাচে তিনি ছিলেন চতুর্থ আম্পায়ার।
আরেক শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার গামিনি দিশানায়েকে এগিয়ে গেছেন আরও কয়েক ধাপ। তিনি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের চাহিদামতো টাকা সরবরাহ করে যেকোনো কাজই করিয়ে নেওয়া সম্ভব।
পাকিস্তানের আম্পায়ার আনিস সিদ্দিকী টাকার বিনিময়ে ভারতের পক্ষে যেকোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছিলেন। এমনকি এ জন্য তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে নিয়ে আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।

No comments:

Post a Comment