জবি ভিসি দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ

জবি প্রতিনিধি
বেদখল হয়ে থাকা ১০টি হল উদ্ধার, নতুন হল নির্মাণ ও উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবন অরুদ্ধ করে করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল। লাগাতর আন্দোলনের পরও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পেয়ে গতকাল বেলা ১২টায় ভাষ্কর্য চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছির শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভবনের সবগুলো ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর উপাচার্য ভবন থেকে বের হতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে বাধা দিতে চায়। এসময় উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে বের হন তিনি। শিক্ষার্থীদের দাবি_ কয়েকদিন আন্দোলন করে কোনো ফল না পেয়ে আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। আজ পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলন করি। তারা আরও বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে যদি আমাদের হল উদ্ধারের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থায়ীভাবে অবস্থান ও রাত্রিযাপন করব।
প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে প্রশাসনিক ববন অবরুদ্ধ করে রাখে। তখন পুলিশের সহায়তায় প্রক্টর মহোদয় ও উপাচার্য ক্যাম্পাস থেকে বের হন।
সহকারী প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টা পর তালা খুললে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি হয়। অতপর পুলিশ আমাদের বের হতে সাহায্য করে। তবে তিনি ছাত্রলীগের সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেন।

লিংক:  জবি ভিসি দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ

নিরাপত্তা জোরদার আবারো পুরান ঢাকায় ২ বাসে আগুন

জবি রিপোর্টার
রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় গতকাল সকালে দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পর পর দুই দিনের ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৮টায় ২০-২৫ জনের একটি দল হঠাৎ করে স্কাইলাইন পরিবহনের দুটি বাসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এ ব্যাপারে ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বাসে যখন আগুন লাগানো হয় তখন তিনি রায়সাহেব বাজার এলাকায় ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দুর্বৃত্তদের কাউকে পাননি।
ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মহসিন বিশ্বাস বলেন, ছাত্রলীগ আমাদেরকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই বাসগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বিঘি্নত করার জন্য ছাত্রদল ও শিবিররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গত সোমবার ককটেল বিস্ফোরণে আটক দুই জন সহ ৭০-৮০ জন এবং বাসে আগুন দেওয়ায় ২০-২৫ জনের নামে দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার বহিরাগত বিএনপি কর্মীর অংশগ্রহণে জবি ছাত্রদলের মিছিলে ধাওয়া_ পাল্টাধাওয়ার পর ক্যাম্পাসের বাহিরে ককটেল বিস্ফোরণে বিশ্ববিদ্যালয় সহ পুরান ঢাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে। এমতাবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আজ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র সাথে আনার নির্দেশ দিয়েছে জবি প্রশাসন।
প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা বলেন, গত দুই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশেপাশে মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠেছে। তাই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সকলকে পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এবং ভর্তিচ্ছুদের ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে। যেকোন সময়ে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

লিংক: http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=1&pub_no=540&news_type_id=1&index=1

জবি ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ ৭ ককটেল বিস্ফোরণ আহত ৮ আটক ২


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের সংঘর্ষে এক ছাত্রীসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
গতকাল বেলা ১১টায় ছাত্রদল সহিংসতার বিরুদ্ধে মিছিল বের করে ভিক্টরিয়া পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তারা বিজ্ঞান ভবন ঘুরে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এরপর তারা মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ করতে চেষ্ট করে। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ধাওয়া করে এবং ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। তখন ধস্তাধস্তিতে বোটানি বিভাগের এক ছাত্রীসহ আট জন আহত হয়। এদিকে সাড়ে ১১টায় ভিক্টোরিয়া পার্কের দক্ষিণ পাশে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিক্ষুব্ধরা মহানগর (প্রা.) লিমিটেডের তিনটি, বাহাদুর শাহ পরিবহনের পাঁচটি এবং একটি ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আল-মামুন এবং মো. নোমান নামের ছত্রদলের দুই কর্মীকে পুলিশ আটক করে। পরে ক্যাম্পাসে দুই ঘণ্টা ধরে মিছিল এবং সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
সহকারী প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ তাদের বের করে দেয়। ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে ক্যাম্পাসে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আহত ছাত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, ছোটাছুটিতে ধাক্কা লেগে এক ছাত্রী আহত হন তবে তিনি এখন সুস্থ। বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ট্রেজারার মো. ওহিদুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা ঐ শিক্ষার্থীর সকল দায়িত্ব নেব এবং একই সাথে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, জবি ছাত্রদল এবং বহিরাগত ছাত্র নামধারী বিএনপি কর্মীরা ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে তারা এক ছাত্রীকেও আহত করে। সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করতে এ ধরনের ধংসাত্মক কার্যক্রম করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ সজল বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা কয়েক রাউন্ড টেয়ারশেল নিক্ষপ করি।

Link:  Dainik Destiny

জবিতে চলছে হল চাই আন্দোলন দুই দিনের আল্টিমেটাম

জবি রিপোর্টার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল চাই আন্দোলন চলমান রয়েছে। দুইদিনের আন্দোলনে কোন ফল না পেয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে গতকাল বেলা ১২টায় নতুন হল নির্মানের দাবিতে বিক্ষোব মিছিলপ্রশাসনিক ভবন আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় সহকারি প্রক্টর নূর মোহাম্মাদ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলে ব্যার্থ হন। তিনি বলেন দ্রুত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে সন্তোশজনক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনে প্রগতিশিল নের্তৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসতে অযুহাত দেখাচ্ছে। তবে দুই দিনের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না দিলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলানো হবে।

:: Dainik Destiny :: হল নির্মাণসহ চার ইস্যুতে উত্তাল জবি

:: Dainik Destiny :: হল নির্মাণসহ চার ইস্যুতে উত্তাল জবি

'স্বাধীনতা লাভের পরও রয়ে গেছে স্বাধীনতার শত্রু'

জবি রিপোর্টার
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে স্বাধীনতা লাভের পরও রয়ে গেছে স্বাধীনতার শত্রু। আজও তারা পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

বাচ্চু রাজাকরের ফাঁসির রায় ঘোষণায় আনন্দ র‌্যালি শেষে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত সমাবেশে গতকাল এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সেলিম। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. এসএম আনোয়ারা বেগম, গেরিলা যোদ্ধা শাহ মাহবুব হাসান পাশা, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জাম শাহীন প্রমুখ। বক্তারা ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাচ্চু রাজাকারকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানায়। দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আনন্দ র‌্যালী বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগ সভাপতি এফ এম শরীফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম।

Link: http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=2&pub_no=536&news_type_id=1&index=3

অশোভন আচরণ করায় অবরুদ্ধ জবি ছাত্রলীগের সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় গত শনিবার রাতে অবরুদ্ধ হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম শরিফ। রাজধানীর পুরান ঢাকার কলতাবাজারের বার্গার হাউসের মালিকের সঙ্গে গত শনিবার রাতে অশোভন আচরণ করেন শরিফ ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনার জের ধরে তাদেরকে আটক ও শারীরিক আঘাত করা হয়। এতে শরিফের মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

একই দিন গভীর রাতে ছাত্রলীগের ৪০ থেকে ৫০ নেতাকর্মী বার্গার হাউস থেকে তাকে মুক্ত করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করে। এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের ১০-১২ কর্মী বার্গার হাউসে হামলা করে। বার্গার হাউস বন্ধ থাকায় তারা কিছু সময় ইট-পাটকেল ছুড়ে চলে যায়। সূত্র জানায়, গত শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও এক সাংবাদিক কলতাবাজারের এক বার্গার হাউসে এসে খাচ্ছিলেন। রাত বেশি হওয়ায় দোকানের মালিক তাদেরকে বিল পরিশোধের অনুরোধ জানান। কিন্তু ওই সময় সভাপতি ও দোকান মালিকের সঙ্গে বিল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি দোকান মালিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় দোকান মালিকের ডাকে কলতাবাজারের স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে আধাঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এ প্রসঙ্গে জানতে জবি শাখার সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সভাপতি বাসা থেকে নামতে গেলে টিনের আঘাতে মাথা ফেটে যায়।



সূত্র: সকালের খবর। নিউজ লিংক: http://www.shokalerkhabor.net/details_news.php?id=121006&&+page_id=+29

ভর্তিতে অনিয়ম প্রমাণ দিতে পারলে আত্মহত্যা করব : জবি ট্রেজারার

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগের চালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অনিয়ম প্রমাণে নিজে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টরা এ চালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার মো. সেলিম ভূঁইয়া। এ সময় ভর্তি প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ার সাক্ষাৎকার স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলছে। সকল শর্তপূরণ করলেই যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের বিষয় প্রদান করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাক্রম তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (www.jnu.ac.bd)-এ রয়েছে।

তিনি জানান, ভর্তিসংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিট কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কাজেই এককভাবে কাউকে অভিযুক্ত করা একান্তই অবান্তর।

ভর্তি প্রক্রিয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা বলেন, কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদনে স্নাতক প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিষয় প্রদানে মেধাতালিকার ক্রম অনুসরণ না করার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অর্থের বিনিময়ে পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের ভালো বিষয়ের ভর্তির অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি অবান্তর। এখানে দলীয় বিবেচনায় ও অর্থের বিনিময়ে কোনো পরীক্ষার্থীদের বিষয় প্রদান করা হয়নি। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, ভাইভাতে কমিটি চেয়ারম্যান বলতে কোনো পদ নেই। ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান ভর্তি কমিটির কেবলমাত্র একজন ইউনিট সদস্য। ইউনিট সদস্য হিসেবে তিনি পুরো বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া কার্যত কোন কাজ সম্পাদন করতে পারেন না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ অনার্স-এর ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকার সম্পর্কিত প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা


সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ অনার্স-এর ভর্তি সাক্ষাৎকার সম্পর্কিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সকল অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার স্বচ্ছভাবে ও নিয়মমাফিক সম্পন্ন করা হচেছ। সকল শর্তপূরণ সাপেক্ষেই যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয় প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের ভালো বিষয়ের ভর্তির অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর। এখানে দলীয় বিবেচনায় কোন পরীক্ষার্থীদের বিষয় প্রদান করা হয়নি। একটি কুচক্রী মহল ভূয়া ভর্তি ফরম ও মনোনয়ন ফরম ছাপিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এধরনের ঘটনা ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট ধরা পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য যে কোন কারণে কোন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী উক্ত কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় তার নায্য প্রাপ্য বিষয় থেকে বঞ্চিত হলে এবং এই মর্মে তথ্য প্রমাণাদিসহ কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন করলে সে আবেদন কর্তৃপক্ষ অবশ্যই বিবেচনা করবে। এ বিষয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় B’ ইউনিটের ২য় সাক্ষাৎকারের সময়সূচী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় B’ ইউনিটের ২য় সাক্ষাৎকারের সময়সূচী

স্থানঃ ডীন অফিস, কলা অনুষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মেধাক্রম ১০০১-১৩০০

* পুরাতন বিজন্সে স্টাডিজ ভবনের ৪০১ ও ৪০৪ নং কক্ষে সকাল ৮:৩০ থেকে সকাল ৯:৩০ পর্যন্ত চয়েস ফরম সংগ্রহ ও পূরণ করতে হবে।

*আসন পূর্ণ হওয়া মাত্র সাক্ষাৎকার স্থগিত হয়ে যাবে। ২য় ভর্তি শেষে আসন শূণ্য থাকা সাপেক্ষে ৩য় সাক্ষাৎকারের সমসূচীর বিজ্ঞপ্তি সম্ভাব্য ২৯/০১/২০১৩ তারিখে প্রকাশিত হবে।

ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জ্ঞাতব্যঃ

১। নির্দিষ্ট মেধাক্রমধারীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমানুযায়ী এবং অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ ও আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ভিত্তিক ভর্তির অনুমোদন দেয়া হবে।

২। কোন প্রার্থী নির্ধারিত তারিখে সাক্ষাৎকারে উপস্থিত না হলে তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে না।

৩। কোন প্রার্থী তার সাক্ষাৎকারের দিন নির্ধারিত সময়ের পরে উপস্থিত হলে তখন যে বিষয়ে আসন শূণ্য থাকবে (যদি আসন শূন্য থাকে) সে বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পেতে পারে।

৪। প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষা ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র, মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল সনদপত্র, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল সনদপত্র/প্রশংসাপত্র, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মুল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়াও ভর্তি বিষয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি নির্দেশিকা ২০১২-২০১৩ তে উল্লেখিত ‘১১’ ও ‘১২’ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্দেশাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

৫। ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীকে সাক্ষাৎকার গ্রহণের দিন হতে ৩ (তিন) দিনের মধ্যে প্রাপ্ত বিষয়ে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে, অন্যথায় সে আর ভর্তি হতে পারবে না।

৬। কলা ও আইন অনুষদের বিভাগসমূহে ভর্তির জন্য সর্বমোট আনুমানিক ১৩,৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকা প্রয়োজন হতে পারে।

৭। ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ হতে সকল বিভাগে ক্লাস শুরু হবে। ক্লাস শুরুর ১৫ দিনের মধ্যে ক্লাসে যোগদান না করলে বিশ্বদ্যিালয়ের সেমিস্টার রুলস অনুযায়ী ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।

‘ডায়াগোনোস্টিক প্লান্ট প্যাথোলজি’ শীর্ষক আন্তজাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আজ (১৭ জানুয়ারি ২০১৩, বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় উদ্ভিদ বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘ডায়াগোনোস্টিক প্লান্ট প্যাথোলজি’ (Diagnostic Plant Pathology) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আমেরিকার ম্যাসাচুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবার্ট এল. উইক (Prof. Robert L. Wick)। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্ভিদের রোগতাত্ত্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সেমিনারে ‘প্লান্ট ডিজিজেজ ইন বাংলাদেশ’ (Plant Diseases in Bangladesh) শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান খন্দকার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ রুহুল মোমেন এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা বেগম। মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী সাখওয়াত হোসেন। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ অনার্স-এর ‘বি’ ইউনিট ও ‘ডি’ ইউনিটের ২য় সাক্ষাৎকার তলিকা প্রকাশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সম্মান শ্রেণীর ‘বি’, ও ‘ডি’ ইউনিটের মেধানুসারে ২য় সাক্ষাৎকারের সময়সূচী প্রকাশ করা হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২৪ জানুয়ারি সকাল ৯.৩০টায় মানবিক শাখার মেধাক্রম ১০০১ থেকে ১৩০০ পর্যন্ত এবং দুপুর ১.৩০টায় মেধাক্রম ১৩০১ থেকে ১৬০০ পর্যন্ত সাক্ষাৎকার কলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, পুরাতন বিজনেস স্টাডিজ ভবনের ৪০১ ও ৪০৪নং কক্ষে সকাল ৮.৩০ থেকে সকাল ৯.৩০ পর্যন্ত চয়েস ফরম সংগ্রহ ও পূরণ করতে হবে।

‘ডি’ ইউনিটে প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২৩ জানুয়ারি সকাল ৯.৩০টায় মানবিক শাখার মেধাক্রম ৬০১ থেকে ৭৪৫ পর্যন্ত, দুপুর ১.৩০টায় মেধাক্রম ৭৪৬ থেকে ৮৫০ পর্যন্ত, ২৪ জানুয়ারি সকাল ৯.৩০টায় বিজ্ঞান শাখার মেধাক্রম ২৫১ থেকে ৩৫০ পর্যন্ত এবং দুপুর ১.৩০টায় বাণিজ্য ও অন্যান্য শাখার মেধাক্রম ১২১ থেকে ১৭০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট চয়েস ফরম পূরণ ও সাক্ষাৎকার সামাজিক বিজ্ঞান ভবন-১-এর ১০০৩নং কক্ষে গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ‘সি’ ইউনিটের বিবিএ প্রোগ্রামের নির্ধারিত সংখ্যক আসনের মনোনয়ন সম্পন্ন হওয়ায় সাক্ষাৎকার স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। কোন প্রার্থী নির্ধারিত দিনে উপস্থিত না হতে পারলে পরবর্তীতে আর বিবেচিত হবে না। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে উচ্চমাধ্যমিক/সমমান এবং এস,এস,সি/সমমান পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র, নম্বরপত্র/গ্রেডশীট, সনদপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং পার্সপোর্ট ও ষ্ট্যাম্প সাইজের ছবি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীকে সাক্ষাৎকার গ্রহণের দিন হতে তিন দিনের মধ্যে প্রাপ্ত বিষয়ে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে, অন্যথায় ভর্তি হতে পারবে না। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও ডবনংরঃব-এ (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে। আসন পূর্ণ হওয়া মাত্রই সাক্ষাৎকার স্থগিত করা হবে।

জবি সি ইউনিটের সাক্ষাৎকার স্থগিত

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সি-ইউনিটের ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে বিবিএ প্রোগ্রামের সাক্ষাৎকার স্থগিত করা হয়েছে।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এর ডীন প্রফেসর ড. এম. আবু মিছির এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয় বিবিএ প্রোগ্রামের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক আসনের মনোনয়ন সম্পন্ন হওয়ায় ১৭/০১/২০১৩ ইং তারিখে নির্ধারিত সাক্ষাৎকার স্থগিত করা হল।

উল্লেখ্য যে, আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সাক্ষাৎকারের পরবর্তি সময়সূচী ডীন অফিসের নোটিশ বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।

জবিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি উদীচীর

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকর করা ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে উদীচী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

গতকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যায়ের ভাস্কর্য চত্বরে এই অনুষ্ঠানে সংহতি জানান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জবি শাখা, জবি চলচ্চিত্র সংসদ, ছাত্রলীগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন।

সংহতি প্রকাশ করে জবি ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, দ্রুত যুদ্ধাপরাধের বিচার না করা না গেলে ১৯৭১-এ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, ধর্ষিত, নিহত নারীর আত্মা শান্তি পাবে না। জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই দ্রুত এই বিচার শেষ করতে হবে। আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, অধ্যাপক ড. হোসনে আরা জলি প্রমুখ। ব্যক্তিগত কাজে এসে সংহতি প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ কেন্দীয় সংসদের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। 

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে গান, কবিতা আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন করে উদীচীর শিল্পীরা।

জবিতে ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকারে ব্যাপক অনিয়ম

মো. ইউসুফ আলী, ঢাকা টাইমস
..........................................................................................

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সাক্ষাৎকারে ‘বি’ ইউনিটের বিষয় বণ্টনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার ও সোমবার দুই দিনে কলা অনুষদভূক্ত ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকারে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। সকল শর্ত পূরণ করার পরও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে কাঙ্খিত বিষয় দেওয়া হয়নি। আবার অনেকে শর্ত পূরণ না করেও মেধা তালিকায় পেছনে থেকেও ভালো বিষয় পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটের অধীনে ছয়টি অনুষদের ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু হয় রবিবার। এ, বি, সি ও ডি ইউনিটের এ সাক্ষাৎকারে কলা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকারে বিষয় বণ্টনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে মেধাক্রম পঞ্চম, ৪১তম, ৪৩তম, ৪৮তম, ৯৩তম, ও ১০৬তম স্থান অধিকারীদের আইন বিষয় পাওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে কাঙ্খিত বিষয় দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল ওদুদ সাংবাদিকদের কোন স্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি বছর প্রকাশিত ভর্তির নির্দেশিকায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে, বাংলা ও ইংরেজি বিষয় পেতে হলে তাদের এইচএসসি/আলিম শ্রেণীতে ২০০ নম্বরের ইংরেজি ও বাংলা পড়ে আসতে হবে। কিন্তু আইন, সাংবাদিকতাসহ অন্য কোন বিষয়ে এ শর্ত না থাকলেও ডীনের স্বেচ্চাচারিতার কারণে তারা মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরকে আইন, সাংবাদিকতা, অর্থনীতিসহ ভালো কোন বিষয় না দিয়ে শুধু মাত্র ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়। ভাইভাবোর্ডের কয়েকজন সদস্য এর প্রতিবাদ করলেও ডিন একক সিদ্ধান্তে তিনি এ শিক্ষার্থীদেরকে বঞ্ছিত করেন।

এদিকে রবিবার সাক্ষাৎকারের প্রথম দিনে আটজন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি বিষয় দেওয়া হলেও সোমবার তাদেরকে বিষয় পরিবর্তন করে আবার বাংলা দেওয়া হয়েছে।

এ প্রশ্নে জবাবে সংশ্লিষ্ট ডিন কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর সংবাদ কর্মীরা ডিনের সাথে দেখা করতে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, ভাইভা বোর্ডের ভিতরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি এফএম শরীফুল ইসলাম বোর্ডের সদস্যদের সাথে বসে রয়েছে। তার পাশে অনন্ত ১৫জন ছাত্রলীগ কর্মী ওই বোর্ডে বসে আছেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বর্হিভূত বলে ভাইভাবোর্ডের একাধিক সদস্য মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, একটি ছাত্রীর কাঙ্খিত বিষয় ডিন অফিস থেকে না দেওয়া হলে আমি জানতে সেখানে গিয়েছিলাম।

ভুুক্তভোগী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার মেধাক্রম ৪১তম, এইচএসসিতে ইংরেজিতে আমি ‘এ’ প্লাস, বাংলায় ‘এ’ মাইনাস পেয়েছি। আইন বিষয় পেতে আমার সকল যোগ্যতা থাকার পরও আমাকে আইন দেওয়া হয়নি। আমাকে ইসলামিক স্টাডিজ দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাঙ্খিত বিষয় না দেওয়ায় আমি রিট করার চিন্তা ভাবনা কর

ফি প্রত্যাহারের দাবিতে জবিতে আন্দোলনে পুলিশের হামলা: আহত ২০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক 
উন্নয়ন ফি প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যংক অবরোধ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এ সময় পুলিশি বাধায় অন্তত ২০জন আহত হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সোয়া ১০ টায় ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য চত্তর থেকে মিছিল নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে ফারুক আহমেদ আবীর, আল আমীন, লাকি আক্তার সহ প্রায় ২০জন আহত হন। গত বছর ভর্তির সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন ফি বাবদ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। তখন ছাত্ররা ফি প্রত্যাহারের দাবি জানায়। প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রদের আলোচনা সাপেক্ষে ২ হাজার টাকা কমানো হয়। এবং বাকি তিন হাজার টাকা ২০১২-১৩ সেশনে ভর্তির সময় থেকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি বছরেও ভর্তির ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা উন্নয়ন ফি ধার্য করেছে। তাই পরশু থেকে আন্দোলন এবং বিক্ষোব মিছিল করে আসছে ঐ সংগঠনের কর্মীরা। অবরোধ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, দাবী মানা না হলে অবরোধ কর্মসূচী চলতে থাকবে।

প্রক্টর অশোক কুমার শাহা বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভর্তিচ্ছুদের টাকা জমা দিতে বাধা দেওয়ায় পুলিশ সদস্যরা ধর্যের সাথে তাদের প্রতিহত করে। কোন হতাহতের ঘটনা সেখানে ঘটেনি। আন্দোলনের নামে ব্যাংক অবরোধ করা আইনবিরোধী। তবে, যেকোন ছাত্রসংগঠন প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসতে চাইলে প্রশাসন তাদের সাথে বসবে। বিশৃঙ্খলা কোন আন্দোলনের রূপ হতে পারেনা।

এ বিষয়ে ট্রেজারার, অধ্যপক মো: সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। ছাত্রদের সাথে দ্রুত আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রেজিষ্ট্রার প্রকৌশলী ওহেদুজ্জামান বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আগামীকাল (আজ) থেকে অগ্রনী ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহ ইসলামপুর শাখায় ও টাকা জমা দেওয়া যাবে।

জবিতে উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষ ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গতকালার বেলা ১টায় মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে সমাবেশ করে ঐ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, গত বছর ভর্তির সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন ফি বাবদহাজার টাকা নির্ধারণ করে। তখন ছাত্ররা ফি প্রত্যাহারের দাবি জানায়। প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রদের আলোচনা সাপেক্ষেহাজার টাকা কমানো হয়। এবং বাকি তিন হাজার টাকা ২০১২-১৩ সেশনে ভর্তির সময় থেকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি বছরেও ভর্তির ক্ষেত্রেহাজার টাকা উন্নয়ন ফি ধার্য করেছে। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবি জানান।

বিষয়ে ট্রেজারার, অধ্যপক মো: সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। আমরা ছাত্রদের সাথে দ্রুত আলোচনায় বসব। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ভাবে প্রথমদিনের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়েছে। ভর্তির বিষয়ে যেকোন ধরনের দূর্নীতি কঠোর হস্তে দমন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।

শীতার্তদের পাশে জবি মনোবিজ্ঞান বিভাগ এবং সাংবাদিক সমিতি

শীতার্ত দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগ এবং সাংবাদিক সমিতি। দেশব্যাপী হাঁড়কাপানো শীতের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের শীতার্ত দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। 

গত বৃহস্প্রতিবার শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য মনোবিজ্ঞান বিভাগের একঝাক তরুণ এবং সাংবাদিক সমিতি সদস্যদের একটি দল রাতে দিনাজপুর যায় এবং শুক্রবার ও শনিবার তারা ওই এলাকার পার্বতীপুরের নতুন বাজার এলাকায় শীর্তাত মানুষের মাঝে শীতের কম্বল, জ্যাকেট ও সোয়েটার বিতরণ করেন। শীতবস্ত্র বিতরণকালে সেখানে পার্বতীপুরে স্থানীয় ”ইয়াং স্টার ক্লাব” তাদের সহযোগীতা করেন।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সোলাইমান সালমান বলেন, ”একটি ছোট সংগঠন হওয়া সত্বেও আমাদের যতটুকু সার্মথ্য ছিলো তা দিয়ে আমরা শীতার্ত ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আশা করি আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস দেখে সমাজের ভিত্তবানরা শীর্তাত মানুষের প্রতি তাদের সাহায্যর হাত বাড়াবেন”।

এক ছাত্রের সনদ বাতিল; এক ছাত্রের সনদ বাতিল

বিশ্বজিৎ দাশ নিহত হওয়ার ঘটনায় আরো তিন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং এক ছাত্রের সনদ বাতিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে ১০ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং ৩ সাবেক ছাত্রের সনদ বাতিল করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হচ্ছে আজিজুর রহমান, পিতা : শেখ আব্দুল মান্নান, (দর্শন বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ : ২০০৬-০৭); রফিকুল ইসলাম, পিতা : নূর মিয়া মোল্লা, (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ : ২০০৮-০৯); এইচ এম কিবরিয়া, পিতা : আতিকুর রহমান হাওলাদার, (মনোবিজ্ঞান বিভাগ, শিক্ষাবষর্ : ২০০৬-০৭)। এছাড়া খন্দকার মো. ইউনূস আলীর (শিক্ষাবর্ষ ২০০২-০৩, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ) সনদ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মো. কাইয়ুম মিয়া (টিপু), রাজন তালুকদার, মো. সাইফুল ইসলাম এবং জি এম রাশেদুজ্জামান (শাওন) নামে চারজন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয় এবং গত ১২ ডিসেম্বর মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান (নাহিদ) ও মো. ইমদাদুল হক নামে দুজন ছাত্রের সনদ বাতিল করা হয় এবং মো. রফিকুল ইসলাম (শাকিল), মীর মো. নূরে আলম ও মো. ওবাইদুল কাদের নামে তিনজন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়।

জবি প্রস্তাবিত ছাত্রী নিবাসে রিকশার গ্যারেজ; প্রসাশনের আশ্বাস: বর্তমান অর্থবছরেই ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক
এখনও বেদখলে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রস্তাবিত ছাত্রীনিবাস এর জমি। জায়গাটি রিকশার গ্যারেজ নামে পরিচিত। সরজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় একশত রিকশা রাখা হয় সেখানে। বিশ্বববিদ্যালয়ের অনকূলে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের বিষয়টি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হলেও দখলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমান অর্থবছরেই ভবন তৈরির কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।

উপাচার্য অধ্যপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ এর নের্তৃত্বে বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত বছর ১০ অক্টোবর, ২০১২, তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত প্রেরিত অনুলিপি অনুসারে ৩/১ জনসন রোডস্থ (১নং খাস খতিয়ানের, সি, এস-৮৮, এস,এ-৬৮১, আর,এস-১০৩১ এবং মহানগর ৩৩০ নং দাগের ০.৩৪২২ একক) ‘খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত’ নীতিমালার ৩.০ (গ) অনুচ্ছেদ অনুসারে জগন্নাথ বিশ্বববিদ্যালয়ের অনকূলে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের বিষয়টি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। কিছুদিন জায়গাটি জনসাধারনের জন্য নিষিদ্ধ করে গেট বন্ধ করে দেওয়া হলেও আবার রিকশার গ্যারেজে পরিনত হয়েছে প্রস্তাবিত ছাত্রীনিবাসের জায়গাটি। শিক্ষার্থীদের দাবী প্রসাশনের অবহেলার কারণে বেদখল রয়ে আছে হলের জমি। জায়গাটি যাতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দখল করতে না পারে এজন্য ঐ বছরের গোড়ার দিকে জবির শিক্ষার্থীরা জায়গাটিতে ছাত্রী হলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামান বলেন, আমরা বরাদ্দ টাকা জমা দিয়েছি। এই মাসেই ঐ জায়গায় প্রহরী নিযুক্ত করার কথা থাকলেও সম্ভব হয়নি। আশা করছি আগামী মাসের মধ্যে আমরা জমি দখলে নিয়ে নিব। তিনি আরও বলেন, ছাত্রীনিবাস তৈরি কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেনীর কমচারীরা সেখানে অস্থায়ীভাবে থাকবে। বর্তমান অর্থবছরে ছাত্রীনিবাস ভবন তৈরির কাজ শুরু করা হতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার, মো: সেলিম ভূঁইয়া বলেন, প্রস্তাবিত ছাত্রীনিবাসের জমির দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্তে সরকারের পক্ষ থেকে ১৫কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারণ করা হয়। নিতীমালা অনুযায়ী দশ পার্সেন্ট, দেড় কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একটি পক্ষ ঐ জমির পক্ষে রিট আবেদন করেছিল। তবে আমরা নিশ্চিত অতি শিগ্রহী আমরা জমির দখল পেয়ে যাব। তিনিও বর্তমান অর্থবছরে ছাত্রীনিবাস ভবন তৈরির কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঐ জমির মালিকানা দাবী করে আসছেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী দুই বন্ধু হাজী মো: শাহীবুল্লাহ ভূঁইয়া এবং হাজী মো: নাজিমুদ্দিন। শাহীবুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ১৯৯২ সালে আমরা উক্ত জমি সুনীল কুমার বসাক নামের ভদ্রলোকের কাছ থেকে কিনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকুলে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও বর্তমান মালিক আমরা। ২০১২ জুন, ০৪ তারিখে সুনীল বসাক জমিটির মালিকানা দাবী করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন (রিট পিটিশন নং. ১৩৬২ অব ২০১২)। রিটের বিবাদী (১)বাংলাদেশ ভুমি মন্ত্রলায়, (২) ঢাকা জেলা প্রশাসক, এবং (৩) খালিদ হামিদুল হক চৌধুরী।
ঢাকা জেলা প্রশাসক, শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, সঠিক আইনানুগ প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মালিক জমির দখল পাবে। এটা সম্পূর্ণ আইনগত বিষয়।

হল উদ্ধারে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করে আসছে বলে জানা যায়। নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতার কারণেই ছাত্রীনিবাস ভবন তৈরির কাজ স্থগিত হয়ে আছে। মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মনজুর মোর্শেদ বলেন, বিভিন্ন হল আন্দোলনের সময়ে প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও আমরা কিছুই পাইনি।

''জবি ছাত্রের ছোট বোনের পুন:ময়নাতদন্তের রিপোর্ট স্থগিত''

এই ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ নিজস্ব এবং জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়াক ফেসবুক পেজের পোস্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ফরিদপুরের নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী জাকিয়া আক্তার চম্পার দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিস্কার করে কিছু উল্লেখ করেননি চিকিৎসকরা। সোমবার ফরিদপুরের আদালতে দাখিল করা পুন:ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ‘ওপিনিয়ন পেনডিং’ উল্লেখ করে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকার মহাখালীতে পাঠানোর সুপরিশ করা হয়েছে। পরে চম্পার লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি সৈয়দ মোহসিনুল হক জানান, পুন:ময়নাতদন্তে মতামতের স্থলে ‘ওপিনিয়ন পেনডিং’ লেখা রয়েছে। এর মানে কি তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরাই ভালো বলতে পারবেন।

পুন:ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত তিন সদস্যের চিকিৎসক দলের অন্যতম ডা. খবিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমরা চম্পার মরদেহের বিভিন্ন আলামত ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকার মহাখালীতে পাঠিয়েছি। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে চাচাতো বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে কৌশলে চম্পাকে তুলে নিয়ে যায় দুস্কৃতিকারীরা। পর দিন ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ স্কুলছাত্রী চম্পার লাশ গ্রামের একটি মেহগনি গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতের ভাই হাসিবুল ইসলাম থানায় হত্যা মামলা করে। পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।

প্রথম দফা ময়নাতদন্তে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার অঞ্জন কুমার দাস মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে হৈ-চৈ শুরু হয়। পরবর্তীতে বাদির আবেদনের 
পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। শনিবার ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়। সেই রিপোর্টের সাথে প্রথমদফা সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের আকাশ-পাতাল ফারাক ছিল।
এতে বিচারপ্রার্থী পরিবারের সদস্য ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা খুঁজে পেলেও শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের চিকিৎসকরা ম্যাজিস্ট্রেটের সুরতহাল রিপোর্ট প্রত্যাখান করেন এবং লাশের পুন:ময়নাতদন্ত না করেই মর্গ থেকে ফিরে যান।

রবিবার ফরিদপুরের বিভিন্ন সংগঠন ও এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে মাঠে নামলে চাপের মুখে পুন:ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। তারা ‘ওপিনিয়ন পেনডিং’ উল্লেখ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মামলার প্রধান আসামী রাজবাড়ীর মূলঘর ইউনিয়নের সাইবাড়িয়া গ্রামের হাকিম মন্ডলের ছেলে চরমপন্থি সদস্য একাধিক মামলার আসামী শামীম এখানো গ্রেপ্তার হয়নি। তার অপর তিন সহযোগি আসামী ছালাম, বাবু ও পারভীনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

জবিতে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের ছবি





জবিতে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

মনিরুজ্জামান
জবি রিপোর্টার: দৈনিক ডেসটিনি


ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত: মানবন্ধনে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক
শামীম মন্ডল সহ সকল ধর্ষক এবং খুনিদের শাস্তি না দওেয়া হলে কঠোর র্কমসূচরি হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত দয়িছেনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাসিবুলের বোন জাকিয়া আক্তার সহ সম্প্রতি সারাদেশে ঘটে যাওয়া সকল ধর্ষনের ঘটনার সুষ্টু বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী চেয়ে শিক্ষক সমিতির নীল দল এবং শিক্ষার্থীরা পৃথক মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত করেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষক সমিতির নীল দল আয়োজিত মানববন্ধনে ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, সম্প্রতি সারা দেশে ধর্ষনের মত জঘন্য অপরাদের দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। জাতীর কাছে আহবান এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সজেন্য সবাই সচতেন থাকুন। এছাড়া মানব বন্ধনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ববৃন্দ ও অন্যন্য শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, আইনের ফোকর গলে, কোন ধর্ষক যেন পালিয়ে বাঁচতে না পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, মার্কেটিং বিভাগ মনন সমাজ সংস্কৃতি এবং রেফ রিমুভ ফোরাম মানবন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে।
‍এদকিে দুপুর ১২টায় সাধারন শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দফায় মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে তারা মিছিল বের করে ভিক্টরিয়া পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। এ দফায় সংহতি প্রকাশ করে জবি ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সহ নানা প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন। উভয় মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক সহ প্রায় তিনশত শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।

জবি ছাত্রের ছোট বোনের লাশ ২৪ ঘণ্টা মর্গে পড়েছিল !!!!

 জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক এ প্রকাশিত লেখা দেওয়া হল:

ময়নাতদন্ত না করেই ফরিদপুর সদরের কাশিমাবাদ গ্রামের জাকিয়া আক্তার ওরফে চম্পার (১৪) লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম। গত শনিবার আবার ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তোলা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল টিম ময়নাতদন্ত না করে লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। লাশটি গতকাল শনিবার দুপুর থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত মর্গে পড়ে থাকে।
 গতকাল শনিবার ময়নাতদন্ত না করার ব্যাখা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘দ্বিতীয় সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে লাশটির বাস্তব অবস্থার গরমিল থাকায় মেডিকেল টিম ময়নাতদন্ত করেনি। তিনি বলেন, এ অবস্থায় ময়নাতদন্ত করা হলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলামকে সুরতহাল প্রতিবেদন সংশোধন করে দেওয়ার জন্য মর্গে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে গতকাল বিকেলে সুরতহাল প্রস্তুতকারী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের শেখ বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদন প্রস্তুতের সময় বাস্তবে যা দেখেছি সে আলোকেই প্রতিবেদন তৈরি করেছি। মেডিকেল বোর্ড কী পেয়েছে বা পায়নি, তা আমার জানার কথা নয়।’
সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কবর থেকে উত্তোলনের পর মরদেহের বাস্তব যে অবস্থা দেখা গেছে, সে আলোকেই প্রতিবেদন করা হয়েছে।’
এদিকে আজ রোববার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী এক নম্বর বিচারিক আদালতের হাকিম আবদুল্ললাহ আল মাসুদকে গরমিলের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে এ ব্যাপারে তাঁর আদেশ প্রার্থনা করেন। বিচারক ওই মেডিকেল টিমকে আবার ময়নাতদন্তের আদেশ দিলে দুপুর দুইটার দিকে ওই তাঁরা কাজ শুরু করে।
এই জটিলতার কারণে কবর থেকে তোলা চম্পার লাশটি ২৪ ঘণ্টা মর্গে পড়েছিল। ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে আনা হয়। মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে এসে ময়নাতদন্ত না করে ফিরে গিয়ে দেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছে।’
ফরিদপুরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. খসরুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশ তোলার পর সুরতহাল রিপোর্ট যা-ই থাক না কেন মেডিকেল টিম ময়নাতদন্ত করতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত বিচার্য হতে পারে না।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ফরিদপুর শাখার সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, ২৪ ঘণ্টা মৃতদেহটি মর্গে ফেলে রাখা একটি অমানবিক কাজ হয়েছে। মেডিকেল টিমের উচিত ছিল আদালতের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে গতকাল শনিবারই ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করা। সেটাই হতো মানবিক আচরণ। সে ক্ষেত্রে পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের সুরতহাল প্রতিবেদনে কী মিলল বা মিলল না, সেটা তাঁদের বিবেচনার বিষয় ছিল না।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কাশিমাবাদ গ্রামের নবম শ্রেণীর এক মেধাবী ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা হতো। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিয়ের। তা প্রত্যাখ্যান করেন মাতা-পিতাহারা মেয়েটির চাচা। পরে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বিশাল মেহগনি গাছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন মেয়েটির ভাই। গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। কিন্তু ময়নাতদন্তে মেয়েটিকে হত্যা ও ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিত্সক অঞ্জন কুমার দাস। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ফরিদপুরের বিচারিক হাকিমের আদালতে আবার ময়নাতদন্তের আবেদন করেন বাদী। এ আদালতের হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ গত বৃহস্পতিবার আবার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মেয়েটি পরদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্রী ছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিবেশী সালাম মাতুব্বরের স্ত্রী পারভীন বেগম জরুরি কাজের কথা বলে স্কুলছাত্রী জাকিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই দিন জাকিয়ার এক চাচাতো বোনের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। জাকিয়ার পরনেও ছিল হলুদ রঙের শাড়ি। পরদিন বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মেহগনির বাগানে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় জাকিয়ার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

আমরা কী এখন ও মুখ বুজে বসে থাকব?

ছবি ফেসবুক
এ.আই.এস ডিপার্টমেন্টের সহপাঠীর ছোটবোনের ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল দুপুর একটায় আমরা মানববন্ধন করার ঘোষনা দিয়েছে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক নামের এক ফেসবুক পেজ।

তাদের দাবী, আজকে আমাদের সহপাঠীর বোন এই পৈশাচিকতার শিকার হয়েছে. . . কালকে আপনি বা আপনার/আমার ছোটবোন হবে না তা কে বলতে পারে?? লক্ষ্য করুন প্রথমে আমরা শুনেছি দিল্লীর দামিনীর কথা.. . এরপর পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী মেয়ের কথা. . . এরপর টাঙ্গাইল . . .এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ­ সহপাঠীর বোন! বলুন তো পরবর্তী শিকার কে???

ঐ ফেসবুক পেজটি সবাইকে আহব্বান করে বলে, যদিই সত্যিই প্রতিবাদ করতে চান তাহলে কালকে ভার্সিটি তে আসুন।নতুবা আপনার বা আপনার বোনের ধর্ষণে হয়ত আমরা বসে থাকব. . .


Facebook link: www.facebook.com/jnu.ac.edu

বিষটি আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দিলাম। অপনাদের মতামত জানান মন্তব্য করে। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাপ

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার, সদরঘাটে অবস্থিত। পূর্বতন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু।

২০১২-২০১৩ সেশনে ভর্তিচ্ছু বন্ধুদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ম্যাপ নিম্নে দেওয়া হল।


এবার ধর্ষিত ও খুন হল আমাদের জবি ছাত্রের আপন ছোট বোন

ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা
আবার ময়না তদন্তের নির্দেশ

ফরিদপুর সদর উপজেলার কাশিমাবাদ গ্রামের নবম শ্রেণীর এক মেধাবী ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা হতো। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিয়ের। প্রত্যাখ্যান করেন বাবা-মা হারা মেয়েটির চাচা। ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বিশাল মেহগনি গাছে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন মেয়েটির ভাই। গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। কিন্তু ময়নাতদন্তের সময় মেয়েটিকে হত্যা ও ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক অঞ্জন কুমার দাস। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ফরিদপুরের বিচারিক হাকিমের আদালতে আবার ময়নাতদন্তের আবেদন করেন বাদী। এ আদালতের হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ গত বৃহস্পতিবার আবার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আবার ময়নাতদন্তের জন্য জাকিয়ার মরদেহ আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে কবর থেকে তোলা হবে। এদিকে কবর থেকে মেয়েটির মৃতদেহ দুই দফায় চুরির চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু গ্রামবাসীর পাহারার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
মেয়েটির নাম জাকিয়া আক্তার চম্পা (১৪)। সে পরদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্রী। ক্রমিক নম্বর দুই। তার মা ফাতেমা বেগম মারা গেছেন ২০০৪ সালে। বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া মারা গেছেন ২০১০ সালে। মেজো ভাই মো. শহীদুল ইসলাম ও জাকিয়ার চাচা হুমায়ুন মিয়ার সংসারে থেকে পড়াশোনা করছিল। মেয়েটির বড় ভাই মো. হাসিবুল ইসলাম ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
মামলার বাদী হাসিবুল ইসলাম বলেন, তাঁদের বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে উলুকান্দা গ্রামের সালাম মাতুব্বরের বাড়ি। সালামের বেয়াই শামীম মণ্ডল (২২) ছয়-সাত মাস ধরে তাঁর বোন জাকিয়াকে উত্ত্যক্ত করাসহ তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
জাকিয়ার আরেক চাচা মো. আলমগীর মিয়া বলেন, ‘গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শামীম ও সালাম মাতুব্বরের শ্যালক আবুল খাঁ এসে জাকিয়ার সঙ্গে শামীমের বিয়ের প্রস্তাব দেন। আমি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে আবুল খাঁ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘কথাডা রাখলে ভালো করতেন। ভাবতেও পারবেন না এর পরিণতি কী হতে পারে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিবেশী সালাম মাতুব্বরের স্ত্রী পারভীন বেগম জরুরি কাজের কথা বলে স্কুলছাত্রী জাকিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই দিন জাকিয়ার এক চাচাতো বোনের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। জাকিয়ার পরনেও ছিল হলুদ রঙের শাড়ি। পরদিন বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মেহগনির বাগানে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় জাকিয়ার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
জাকিয়ার মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান। বৃহস্পতিবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৃতদেহে আঘাতের দৃশ্যমান কোনো চিহ্ন পাওয়া না গেলেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ কথা আমি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। তা ছাড়া লম্বা মেহগনি গাছে লাশটি ঝুলতে দেখা যায়। এই বয়সী একটি মেয়ে ওই গাছে উঠে গলায় ফাঁস দেবে, তা কল্পনা করা যায় না। মেয়েটির জুতা ওই গাছ থেকে ২০ গজ দূরে পাশাপাশি পরিপাটি অবস্থায় দেখা গেছে; যা অস্বাভাবিক।’
ময়নাতদন্তের পর জাকিয়ার মৃতদেহ গোসল করান কাশিমাবাদ গ্রামের রুবিয়া খাতুন (৬০) ও আম্বিয়া খাতুন (৪৮)। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাকিয়ার শরীরে ধর্ষণের আলামত ছিল সুস্পষ্ট।’
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ‘চিকিৎসক অঞ্জন কুমার দাসের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর আমি তাঁর সঙ্গে তিন দফা কথা বলেছি। প্রতিবারই তিনি বলেছেন, তিনি তদন্তকালে যা পেয়েছেন, তা-ই উল্লেখ করেছেন।’
গত বুধবার সরেজমিনে কাশিমাবাদ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, উলুকান্দা-কাশিমাবাদ গ্রামীণ সড়কের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে জাকিয়ার কবর। বাড়ি থেকে বিদ্যুতের তার টেনে কবরস্থান আলোকিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই গ্রামের মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে কবরটি পাহারা দিচ্ছি। এর মধ্যে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা ও ১ জানুয়ারি ভোর চারটার দিকে মাইক্রোবাসে করে আট-দশজন লোক কবরের কাছে এসেছিল। আমরা ধাওয়া দেওয়ায় তারা পালিয়ে যায়।’
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। চিকিৎসকেরা সমাজে হেয়প্রতিপন্ন হবেন। তাই মেয়েটির লাশের পুনরায় ময়নাতদন্তের প্রয়োজন।’
মামলা ও গ্রেপ্তার: জাকিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আবুল খায়ের মোল্লা বলেন, ‘মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি আবুল খাঁ (৩২) ও হাসেম খাঁকে (২৮) ১৫ ডিসেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক দিনের পুলিশি রিমান্ডে তাঁরা কিছু তথ্য দিয়েছেন। তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের আবার রিমান্ডে আনা হবে।’
এজাহারভুক্ত অন্য চার আসামিসহ দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই।

জবিতে অনার্স (সম্মান) প্রথমবর্ষ সাক্ষাৎকার শুরু ১৩ জানুয়ারী

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক
আগামী ১৩ জানুয়ারি, ২০১৩ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিষ্টারের সকল ইউনিটের (এ, বি, সি এবং ডি ইউনিট) ভর্তির সাক্ষাৎকার ও সাবজেক্ট চয়েস ফরম পূরণ শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্ত থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীকৈ সাক্ষাৎকার গ্রহণের দিন হতে তিন দিনের মধ্যে প্রাপ্ত বিষয়ে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে, অন্যথায় ভর্তি হতে পারবে না। কোন প্রার্থী নির্ধারিত দিনে উপস্থিত না হতে পারলে পরবর্তীতে আর বিবেচিত হবে না। ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হবে।
এ সময়ে ‘এ’ ইউনিটের সাক্ষাৎকার বিজ্ঞান ভবনের মনোবিজ্ঞান বিভাগে (নীচতলা কনফারেন্স রুমে), ‘বি’ ইউনিটের সাক্ষাতকার কলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকার নতুন একাডেমিক ভবনে (৭ম তলা ৭১৯ নম্বর কক্ষে), ‘ডি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকার সামাজিক বিজ্ঞান ভবন-১,এ অনুষ্ঠিত হবে।
‘এ’ ইউনিটে মানবিক শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ৩৫০০ পর্যন্ত, অন্যান্য শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ১৮৭ পর্যন্ত,  ‘বি’ ইউনিটে মানবিক শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ১,০০০ পর্যন্ত, বিজ্ঞান শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ৩৫০ পর্যন্ত, বাণিজ্য শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ২৫০ পর্যন্ত, ‘সি’ ইউনিটে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ১৪০০ পর্যন্ত, অন্যান্য শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ১৩০ পর্যন্ত, এবং ‘ডি’ ইউনিটে মানবিক শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত, বিজ্ঞান শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ২৫০ পর্যন্ত, বাণিজ্য ও অন্যান্য শাখার মেধাক্রম ১ থেকে ১২০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট চয়েস ফরম পূরণ ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, ২য় পর্বের সাক্ষাৎকার ২১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।