জবি ভিসি দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ

জবি প্রতিনিধি
বেদখল হয়ে থাকা ১০টি হল উদ্ধার, নতুন হল নির্মাণ ও উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবন অরুদ্ধ করে করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল। লাগাতর আন্দোলনের পরও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পেয়ে গতকাল বেলা ১২টায় ভাষ্কর্য চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছির শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভবনের সবগুলো ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর উপাচার্য ভবন থেকে বের হতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে বাধা দিতে চায়। এসময় উপাচার্যের সাথে শিক্ষার্থীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে বের হন তিনি। শিক্ষার্থীদের দাবি_ কয়েকদিন আন্দোলন করে কোনো ফল না পেয়ে আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। আজ পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলন করি। তারা আরও বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে যদি আমাদের হল উদ্ধারের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থায়ীভাবে অবস্থান ও রাত্রিযাপন করব।
প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে প্রশাসনিক ববন অবরুদ্ধ করে রাখে। তখন পুলিশের সহায়তায় প্রক্টর মহোদয় ও উপাচার্য ক্যাম্পাস থেকে বের হন।
সহকারী প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টা পর তালা খুললে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি হয়। অতপর পুলিশ আমাদের বের হতে সাহায্য করে। তবে তিনি ছাত্রলীগের সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেন।

লিংক:  জবি ভিসি দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ

নিরাপত্তা জোরদার আবারো পুরান ঢাকায় ২ বাসে আগুন

জবি রিপোর্টার
রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় গতকাল সকালে দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পর পর দুই দিনের ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৮টায় ২০-২৫ জনের একটি দল হঠাৎ করে স্কাইলাইন পরিবহনের দুটি বাসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এ ব্যাপারে ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বাসে যখন আগুন লাগানো হয় তখন তিনি রায়সাহেব বাজার এলাকায় ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দুর্বৃত্তদের কাউকে পাননি।
ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মহসিন বিশ্বাস বলেন, ছাত্রলীগ আমাদেরকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই বাসগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বিঘি্নত করার জন্য ছাত্রদল ও শিবিররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গত সোমবার ককটেল বিস্ফোরণে আটক দুই জন সহ ৭০-৮০ জন এবং বাসে আগুন দেওয়ায় ২০-২৫ জনের নামে দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার বহিরাগত বিএনপি কর্মীর অংশগ্রহণে জবি ছাত্রদলের মিছিলে ধাওয়া_ পাল্টাধাওয়ার পর ক্যাম্পাসের বাহিরে ককটেল বিস্ফোরণে বিশ্ববিদ্যালয় সহ পুরান ঢাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে। এমতাবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আজ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র সাথে আনার নির্দেশ দিয়েছে জবি প্রশাসন।
প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা বলেন, গত দুই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশেপাশে মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠেছে। তাই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সকলকে পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এবং ভর্তিচ্ছুদের ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে। যেকোন সময়ে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

লিংক: http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=1&pub_no=540&news_type_id=1&index=1

জবি ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ ৭ ককটেল বিস্ফোরণ আহত ৮ আটক ২


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের সংঘর্ষে এক ছাত্রীসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
গতকাল বেলা ১১টায় ছাত্রদল সহিংসতার বিরুদ্ধে মিছিল বের করে ভিক্টরিয়া পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তারা বিজ্ঞান ভবন ঘুরে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এরপর তারা মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ করতে চেষ্ট করে। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ধাওয়া করে এবং ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। তখন ধস্তাধস্তিতে বোটানি বিভাগের এক ছাত্রীসহ আট জন আহত হয়। এদিকে সাড়ে ১১টায় ভিক্টোরিয়া পার্কের দক্ষিণ পাশে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিক্ষুব্ধরা মহানগর (প্রা.) লিমিটেডের তিনটি, বাহাদুর শাহ পরিবহনের পাঁচটি এবং একটি ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আল-মামুন এবং মো. নোমান নামের ছত্রদলের দুই কর্মীকে পুলিশ আটক করে। পরে ক্যাম্পাসে দুই ঘণ্টা ধরে মিছিল এবং সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
সহকারী প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ তাদের বের করে দেয়। ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে ক্যাম্পাসে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আহত ছাত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, ছোটাছুটিতে ধাক্কা লেগে এক ছাত্রী আহত হন তবে তিনি এখন সুস্থ। বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ট্রেজারার মো. ওহিদুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা ঐ শিক্ষার্থীর সকল দায়িত্ব নেব এবং একই সাথে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, জবি ছাত্রদল এবং বহিরাগত ছাত্র নামধারী বিএনপি কর্মীরা ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে তারা এক ছাত্রীকেও আহত করে। সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করতে এ ধরনের ধংসাত্মক কার্যক্রম করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ সজল বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা কয়েক রাউন্ড টেয়ারশেল নিক্ষপ করি।

Link:  Dainik Destiny

জবিতে চলছে হল চাই আন্দোলন দুই দিনের আল্টিমেটাম

জবি রিপোর্টার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল চাই আন্দোলন চলমান রয়েছে। দুইদিনের আন্দোলনে কোন ফল না পেয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে গতকাল বেলা ১২টায় নতুন হল নির্মানের দাবিতে বিক্ষোব মিছিলপ্রশাসনিক ভবন আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় সহকারি প্রক্টর নূর মোহাম্মাদ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলে ব্যার্থ হন। তিনি বলেন দ্রুত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে সন্তোশজনক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনে প্রগতিশিল নের্তৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসতে অযুহাত দেখাচ্ছে। তবে দুই দিনের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না দিলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলানো হবে।

:: Dainik Destiny :: হল নির্মাণসহ চার ইস্যুতে উত্তাল জবি

:: Dainik Destiny :: হল নির্মাণসহ চার ইস্যুতে উত্তাল জবি